ভারতের খাদ্য সংস্কৃতিতে ভাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এটি শুধু বিভিন্ন পদে ব্যবহৃত হয় না, সাধারণ ডাল বা অন্যান্য পদ দিয়েও এটি অনেকের পছন্দের খাবার। তবে, ভাতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে ওজন কমানোর জন্য বা ব্লাড সুগারের সমস্যায় অনেকেই ভাত এড়িয়ে চলেন। এর পাশাপাশি, একটি বহুল আলোচিত প্রশ্ন হলো—ভাত খাওয়ার সঠিক সময় কখন? বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাত খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় না থাকলেও এই বিষয়ে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে।
ভাত খাওয়ার সঠিক সময় কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাত খাওয়ার জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। আপনি দিনে বা রাতে যখন খুশি ভাত খেতে পারেন। হরমোন প্রশিক্ষক পূর্ণিমা পেরি বলেন, ভাত খাওয়ার সময় নিয়ে অযথা নিয়ম তৈরি করা মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই মানসিক চাপ শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
ভাত খাওয়ার সঠিক সময় নিয়ে মানসিক চাপের প্রভাব
খাবার খাওয়ার সময় নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা করলে শরীরের স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। কর্টিসল বৃদ্ধি হলে শরীরে চর্বি জমা হয়, চিনির লোভ বাড়ে এবং হজম ও ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই ভাত খাওয়ার সময় নিয়ে চাপ না নিয়ে সচেতনভাবে খাদ্যগ্রহণ করাই ভালো।
ভাত খেয়ে কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করবেন?
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে ভাত এড়িয়ে না গিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে ভাত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ডায়েটিশিয়ান শিনাম কে মালহোত্রার মতে, ভাত পুরোপুরি এড়িয়ে চলার প্রয়োজন নেই। তবে সঠিক পরিমাণ ও সঠিক পদ্ধতিতে ভাত খেলে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব কমে যায়।
১. নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে ভাত খান
প্রতিদিন এক কাপ ভাত খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি অতিরিক্ত ভাত খাওয়ার প্রবণতা এড়িয়ে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
২. ভাত রান্নার সঠিক পদ্ধতি বেছে নিন
ভাজা ভাতের পরিবর্তে সেদ্ধ বা ভাপ দেওয়া ভাত খান। প্রচুর পানিতে ভাত সেদ্ধ করে সেটি ছেঁকে নিলে অতিরিক্ত স্টার্চ দূর হয়ে যায়।
৩. ভাতের সঙ্গে ফাইবার ও প্রোটিন খান
উচ্চ আঁশযুক্ত সবজি বা চর্বিহীন প্রোটিনের সঙ্গে ভাত খান। এটি শুধু আপনার পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে না, বরং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতাও কমায়।