Advertisement

Black Rice Benefits: ডায়াবেটিসে ভাত ছেড়েছেন? এই চাল খেলে বাড়ে না সুগার

Black Rice Health Benefits in Diabetes: দিনে একবার ভরপেট ভাত না হলে কার চলে বলুন তো? বিশেষত, বাঙালিরা ভাত প্রিয়। তবে হঠাৎ করে ভাত খাওয়া বন্ধ হয়ে গেলে কী অবস্থা হবে? মিষ্টি খাবারের পাশাপাশি, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়ই চর্বি, লবণ, তেল এবং কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেতে নিষেধ করা হয়।

ব্ল্যাক রাইস ব্ল্যাক রাইস
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 12 Nov 2022,
  • अपडेटेड 11:19 AM IST
  • সাদা চালে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে
  • অনেকেই জানেন না যে ব্ল্যাক রাইস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প
  • ব্ল্যাক রাইস প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে

Black Rice Health Benefits in Diabetes: দিনে একবার ভরপেট ভাত না হলে কার চলে বলুন তো? বিশেষত, বাঙালিরা ভাত প্রিয়। তবে হঠাৎ করে ভাত খাওয়া বন্ধ হয়ে গেলে কী অবস্থা হবে? মিষ্টি খাবারের পাশাপাশি, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়ই চর্বি, লবণ, তেল এবং কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেতে নিষেধ করা হয়।

সাদা চালে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস (Diabetes) রোগীদের ভাত এড়িয়ে চলতে বলেন। তাই সাদা চালের ভাল বিকল্প কালো চাল। আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন, তাহলে প্রতিদিন এটি খেলে ক্ষুধা প্রশমিত হতে পারে এবং একই সঙ্গে রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। অন্যদিকে, আপনার ডায়াবেটিস না থাকলেও সাদা ভাতের পরিবর্তে আপনি এটিকে আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

ব্ল্যাক রাইস (Black Rice) কেন খাবেন?
ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলি অন্তর্ভুক্ত করার দিকে মনোনিবেশ করুন। এতে শুধু আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ হবে না, ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমাতে পারবেন।

আরও পড়ুন

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্ল্যাক রাইস সবচেয়ে ভালো বিকল্প
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে ভাতকে খুব একটা স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয় না। তবে ভারতীয় খাদ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া সত্ত্বেও, এটি প্রায়শই ডায়াবেটিস রোগীদের এড়াতে হয় কারণ কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা খাবারের পরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রায় হঠাৎ বৃদ্ধি ঘটায়। কিন্তু ব্ল্যাক রাইস তা করে না।

অনেকেই জানেন না যে ব্ল্যাক রাইস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। ব্ল্যাক রাইসে পুষ্টিগুণ অনেক। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। ফাইবার এবং পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন খেতে পারেন।

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
ব্ল্যাক রাইস প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করে।

ওজন কমানো
ওজন বৃদ্ধি আপনার ডায়াবেটিসের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি একটি বড় কারণ যে কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের সাদা ভাত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ব্ল্যাক রাইস আপনার ওজন ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করতে পারে।

Advertisement

ব্ল্যাক রাইস গ্লুটেন মুক্ত
ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুটেন এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এটি শরীর ফুলে যাওয়া এবং পেটে ব্যথা সম্পর্কিত অনেক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ব্ল্যাক রাইস গ্লুটেন মুক্ত।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
ডায়াবেটিক রোগী না হলেও ব্ল্যাক রাইস খেতে পারেন। এতে ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে। এটি আপনার শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, যার ফলে আপনি ভবিষ্যতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারবেন।

পুষ্টিতে পূর্ণ
ব্ল্যাক রাইসে পুষ্টির পরিমাণ বেশি। এটি প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অনেক ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ।

কোনও রোগ না থাকলেও ব্ল্যাক রাইস খেতে পারেন
ব্ল্যাক রাইস হৃদরোগ ও এর ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এছাড়াও, এতে পাওয়া ক্যারোটিনয়েডের কারণে এটি চোখের জন্যও ভালো। এটি গ্লুটেন-মুক্ত, তাই সিলিয়াক রোগীরাও খেতে পারেন। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ, তাই এটি শরীরে চর্বি বাড়তে দেয় না এবং স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে।

ব্ল্যাক রাইস যাদের খাওয়া উচিত নয়
ব্ল্যাক রাইসকে সাধারণত স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। এমন কোনও গবেষণা নেই যাতে ব্ল্যাক রাইস খাওয়া খারাপ বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবে বেশি পরিমাণে ব্ল্যাক রাইস খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস, ফোলা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। অতএব, ব্ল্যাক রাইস সুষম পরিমাণে খান এবং আপনার যদি পেটের কোনও সমস্যা থাকে তবে এটি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Read more!
Advertisement
Advertisement