Sugar level According to Age: শরীরে কোন বয়সে কত সুগার লেভেল থাকা উচিত? ডায়াবেটিস রুখতে চার্ট মিলিয়ে নিন
Blood Sugar Chart: প্রতিটি বয়সেই সুগার লেভেল পরিবর্তিত হয় এবং এই মাত্রা যদি নির্ধারিত পরিমাণের একটু বেশি বা কম হয়, তাহলে এটাকে বিপদের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে আপনার বয়সের ভিত্তিতে সঠিক সুগারের মাত্রা জানা জরুরি।
- আপনার বয়সে কত থাকা উচিত সুগার লেভেল?
- ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখতে দেখে নিন চার্ট
Sugar Level Range: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে রোগের বৃদ্ধিও ঘটতে বাধ্য এবং আজকের যুগে রোগ হওয়ার কোন বয়স নেই। এমন পরিস্থিতিতে নিজের পূর্ণ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আপনি যদি সময়মতো আপনার শরীরে ঘটছে এমন পরিবর্তনগুলি লক্ষ্য করেন, তবে রোগগুলি থাবা বসানোর আগেই দূর করা যেতে পারে। বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শুধু বয়স্করাই নয় শিশুরাও এর শিকার হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে, সময়ে সময়ে সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। আর কোন বয়সে রক্তে সুগারের মাত্রা কেমন হওয়া উচিত তা সুগার লেভেল চার্ট থেকে বোঝা যায়।
বয়স অনুযায়ী সুভার লেভেল (Sugar level According to Age)
সুগারের লেভেল প্রতিটি বয়সে পরিবর্তিত হয়। এ কারণে নির্ধারিত মাত্রার ওপরে বা নীচে গেলে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন বয়সে সুগারের মাত্রা ঠিক কত থাকা উচিত-
- ০-৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এর ঝুঁকি খুবই কম। তাদের সুগারের মাত্রা ১১০ থেকে ২০০ mg/dL পর্যন্ত হতে পারে
- ৬-১২ বছর বয়সী শিশুদের সুগারের মাত্রা ১০০ থেকে ১৮০ mg/dL হওয়া উচিত
- ১৩-১৮ বছর বয়সের মধ্যে অর্থাৎ কিশোর বয়সে রক্তে সুদার ৯০ থেকে ১৫০ mg/dL হলে ঠিক থাকে
- ১৮ বছর বয়সী যুবকদের মধ্যে, খাওয়ার পরে সুগারের মাত্রা ১৪০ mg/dL থাকা উচিত, তবে খালি পেটে ৯৯ mg/dL পর্যন্ত হলে এটা ঠিক।
- ৪০ বছর বয়সের পরে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে, খালি পেটে সুগারের মাত্রা ৯০ থেকে ১৩০ mg/dL এবং খাওয়ার পরে ১৪০ থেকে ১৫০ mg/dL থাকা সঠিক।
সুগার বাড়লে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় (How To Control Sugar)
আজ খাবার থেকে পানীয় বা বাতাস, কিছুই আর বিশুদ্ধ নয়, এমন পরিস্থিতিতে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়া একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার সুগারের মাত্রাও যদি নির্ধারিত পরিমাণের বেশি হয়, তবে কিছু উপায়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। প্রথমত, নিয়মিত ব্যায়াম এবং হাঁটা শুরু করুন, অবিলম্বে মিষ্টি বা স্টার্চ বা কার্বোহাইড্রেট আছে এমন জিনিস খাওয়া বন্ধ করুন, যতটা সম্ভব আপনার খাবারে সালাড অন্তর্ভুক্ত করুন।
আরও পড়ুন