শরীর ফিট রাখতে মানুষ অনেক কিছু করে। কিন্তু অনেকে ভুলে যায় যে, শরীরের পাশাপাশি মনকেও সুস্থ রাখা জরুরি। মস্তিষ্কের অনুশীলনে মনোযোগ না দিলে, ধীরে ধীরে বুদ্ধিমত্তা এবং যুক্তি শক্তি হ্রাস পাবে। এমন কিছু ব্যায়াম রয়েছে, যা আপনার মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করবে।
ধাঁধা নিয়ে খেলুন
পাজল গেম বা ধাঁধা খেলে আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি কমে। সংবাদপত্রের ক্রসওয়ার্ড এবং সুডুকু গেম দিয়ে শুরু করতে পারেন। এই গেমগুলির মাধ্যমে আপনি নিজেকে চ্যালেঞ্জ করলে,তা মস্তিষ্কের জন্য ভাল ব্যায়াম। বর্তমানে নানা রকম অনলাইন গেম রয়েছে ঠিকই। কিন্তু এর থেকে অফলাইনে এই ধরনের গেম খেলা অনেক ভাল। এতে চোখের ক্ষতি হয় না।
পরিচিত জিনিসগুলি নিয়ে উল্টে দিন
এটি শুনতে সহজ লাগলেও, এই কাজে আপনার ব্রেন ভাল থাকবে। যে কোনও ডিওডোরেন্ট বোতল বা পারিবারিক ছবি নিয়ে উল্টে দিন। এই অনুশীলনটি সেই জিনিসগুলির দিকে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে যা, আমরা দৈনন্দিন জীবনে মিস করি। এর প্রধান কাজ হল রং এবং আকারের প্রতি আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা।
দৈনন্দিন কাজের জন্য অপ্রধান হাত ব্যবহার করুন
সাধারণভাবে ডান হাত মানুষের বেশি চলে। সেক্ষেত্রে বাম হাত দিয়ে অন্যান্য কাজ, যেমন- দাঁত ব্রাশ করা বা চুল আঁচড়ানোর মতো কাজগুলি করলে মস্তিষ্কের ভাল প্রভাব পড়ে। যাদের বাম হাত বেশি চলে, তারা এইসব কাজের জন্য ডান হাত ব্যবহার করুন মাঝে মধ্যে।
নতুন ভাষা শিখুন
নতুন ভাষা শেখার জন্য প্রয়োজন একটু ধৈর্য। তবে আপনি এটিতে প্রতিদিন কিছু সময় ব্যয় করতে পারেন। আপনার আগ্রহের যে কোনও ভাষা শেখা শুরু করুন। একটি সমীক্ষা অনুসারে, যারা একাধিক ভাষা জানেন, তাদের যুক্তি অনেক বেশি ভাল।
সকালের রুটিন পরিবর্তন করুন
দাঁত ব্রাশ করার আগে চা বা কফি পান করার চেষ্টা করুন। যদি ব্রাশ করার আগে চা বা কফি পান করার অভ্যাস থাকে , তাহলে উল্টোটা করার চেষ্টা করুন।
চোখ বন্ধ করে কিছু কাজ করুন
আপনার দৈনন্দিন কাজ যেমন রান্না করা বা জ্যুস তৈরি, স্নান ইত্যাদি কাজগুলি চোখ বন্ধ করে করুন। আপনাকে অবশ্যই এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। তবে এই কাজগুলি সম্পূর্ণরূপে স্পর্শের উপর নির্ভর করে। যার কারণে আপনার মস্তিষ্কের কিছু অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে যা, সাধারণত নিষ্ক্রিয় থাকে।
প্রতিদিন নতুন লোকের সঙ্গে আরও কথা বলুন
গবেষণায় দেখা গেছে যে, কম কথা বললে জ্ঞানীয় ফাংশনের গতি কমিয়ে দেয়। সেক্ষেত্রে অপরিচিত এবং পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যতটা সম্ভব বেশি কথা বলা শুরু করতে হবে।