ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু হাড় মজবুত করতেই কাজ করে না বরং দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম হার্টবিট নিয়ন্ত্রণ এবং পেশীগুলির সংকোচনেও সাহায্য করে। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবে হাইপোক্যালসেমিয়া নামক রোগ দেখা দিতে পারে। বিভ্রান্তি, পেশিতে খিঁচুনি, হাত-পা ও মুখের অসাড়তা, হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো, এই রোগের নানা উপসর্গ দেখা দেয়।
দুধ, দই এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত পণ্যগুলিকে ক্যালসিয়ামের খুব ভাল উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ডিম, মুরগির মাংস, মাটন ও মাছ খেলেও শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা যায়। তবে অনেকের দুগ্ধজাত খাবারে অ্যালার্জি আছে বা এমন অনেকেই আছেন যারা আমিষ খান না। এখন প্রশ্ন হল, তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে কীভাবে? শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে দুগ্ধজাত খাবার বা আমিষজাত খাবার ছাড়াও অন্যান্য জিনিসের সাহায্য নিতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তর হল 'হ্যাঁ। জানুন কোন ধরনের খাবারে শরীরে মিলবে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম।
* সোয়া মিল্ক- দুগ্ধজাত পণ্যকে ক্যালসিয়ামের ভাল উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয়, এতে কোনও সন্দেহ নেই। যাদের দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে অ্যালার্জি আছে বা যারা নিরামিষাশী তারা এর পরিবর্তে সোয়া বা বাদাম দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
* সবুজ শাক- সবুজ শাক-সবজি যেমন পালং শাক, কলমি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। এই সব সবজি ক্যালসিয়াম ভাল ভাবে শোষণ করতে সাহায্য করে এবং হাড় ও দাঁতের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। সবুজ শাক সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন, ফোলেট, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫ এবং বি৬। স্বাস্থ্যের জন্য সামগ্রিক ভাবে উপকারী সবুজ শাক সবজি ।
* মটরশুঁটি ও ডাল- আপনি যদি দুগ্ধজাত পণ্য এবং আমিষ ছাড়া অন্য ক্যালসিয়ামের একটি ভাল উৎস খুঁজছেন, তাহলে মটরশুঁটি এবং ডাল আপনার জন্য একটি খুব ভাল বিকল্প হতে পারে। ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি প্রোটিন এবং ফাইবারও প্রচুর পরিমাণে শিম এবং ডালে পাওয়া যায়। এগুলি শুধু হজমের জন্যই ভাল নয়, শক্তির মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়।
* টোফু- টোফুতে ক্যালসিয়াম খুব বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম টোফুতে ১৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। টোফু সোয়াবিন থেকে তৈরি, যার কারণে এটি নিরামিষাশীরাও খেতে পারেন। ক্যালসিয়াম ছাড়াও, টোফুকে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ এবং প্রোটিনের খুব ভাল উৎস হিসাবে মনে করা হয়।
* বাদাম- বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়াও বাদামে ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিন রয়েছে।