শরীরের জন্য অত্যন্ত দরকারি খনিজ ক্যালসিয়াম। দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য় তা দরকার। হাড় শক্তিশালী করে তোলে ক্যালসিয়াম। এই খনিজ দুধ থেকে মেলে ভরপুর। তবে অনেকেরই দুধে সমস্যা রয়েছে। দুধ খেলে হজমে গোলমাল দেখা দেয়। তাহলে শরীর ক্যালসিয়ামের জোগান কীভাবে পাবে? অনেকেই জানেন না, দুধ ছাড়াও ১০ খাবার থেকে মেলে ক্যালসিয়াম।
দই- সাধারণ এবং টক বেশিরভাগ ভারতীয়র বাড়িতেই তৈরি হয়। এখন ফ্রিজ থাকায় সহজেই দই পাতানো যায়। যাঁদের ল্যাকটোজে অ্যালার্জি রয়েছে তাঁদের জন্য দই একদম পারফেক্টত। দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম রয়েছে দইয়েও। খালি মিষ্টি দই খাবেন না।
পনীর- পনীর হল আর একটি সহজলভ্য দুগ্ধজাত পণ্য, যা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। নিরামিষ যাঁরা খান তাঁদের পনীর উত্তম খাবার। ক্যালসিয়াম ছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ।
ডুমুর- ডুমুর ফল অত্যন্ত ভাল উৎস ক্যালসিয়ামের। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং আয়রনও।
সবুজ শাকসবজি- ব্রকলি থেকে পালং শাক, সবুজ শাক সবজি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। পাশাপাশি এতে রয়েছে একাধিক খনিজ। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বাদাম- বাদামে থাকে ভিটামিন ই এবং ক্যালসিয়াম। তবে অতিরিক্ত খেলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই দিনে একবার একমুঠোই খান।
ওটস- ওটস স্বাস্থ্যকর খাবার। দামেও কম। ওটসে থাকে ফাইবার এবং ক্যালসিয়াম। এছাড়াও বিবিধ পুষ্টি উপাদান থাকে ওটসে। ওটস খেলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ঢ্যাঁড়শ- ঢ্যাঁড়শ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। এক বাটি ঢ্যাঁড়শে থাকে ১৭৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্যালসিয়াম।
ডিম- একটি সেদ্ধ ডিমে ৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ভিটামিন এ।
খেজুর- খেজুরে থাকে বিবিধ পুষ্টি উপাদান। এতে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি রয়েছে আয়রনও। খেতেও সুস্বাদু। খেজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। পুরুষদের জন্যও দারুণ উপকারী। উদ্যমী করে তোলে। বিবাহিত জীবন সুখের হয়।
নোনা জলের মাছ- নোনা জলের মাছে থাকে ক্যালসিয়াম। তাই নোনা জলের মাছ খান। এক্ষেত্রে সার্ডিন মাছের জুড়ি মেলা ভার।
আরও পড়ুন- শরীরের জন্য ক্ষতিকর এই ৬ রিফাইন্ড তেল, ক্যান্সার-সহ নানা রোগের ঝুঁকি