ক্যানসার মারণ রোগ। বিশ্বে তো বটেই ভারতেও ক্রমবর্ধমান। এর রোগের বড় সমস্যা হল, প্রাথমিকভাবে কোনও লক্ষণ ধরা পড়ে না। কারণ ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো আর পাঁচটা রোগের মতোই। এ কারণেই অনেকে ছোটখাট উপসর্গ উপেক্ষাই করেন। সেটাই বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। তখন ক্যানসার শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
উন্নত ও সময়মতো চিকিৎসার জন্য ক্যানসারের লক্ষণগুলি চেনা জরুরি। যেমন- টিউমার ছোট হলে যথাযথ চিকিৎসা করালে সেরে যায়। কিন্তু সেটা না হলে ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানসার থেকে বাঁচার উপায় একটাই, যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু। গোড়ায় উপসর্গগুলি সনাক্ত করে চিকিৎসা হলে ক্যানসার থেকে বাঁচা যায়। তেমনই ১০টি লক্ষণের কথা বলা এই প্রতিবেদনে-
মলত্যাগ বা প্রস্রাবের সময় রক্তপাত-প্রস্রাব বা মলত্যাগের সময় রক্তপাত হলে সতর্ক হওয়া উচিত। পাইলস বা ইউটিআই-এর কারণেও হতে পারে। তা না হলে মলের রক্ত কোলন বা মলদ্বার ক্যানসারের উপসর্গ। মূত্রনালীতে টিউমার তৈরি হলে প্রস্রাবে রক্ত পড়তে পারে।
রক্তাল্পতা- শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে লাল রক্তকণিকা তৈরি না হলে অ্যানিমিয়া হয়। লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা এবং মাল্টিপল মায়লোমার মতো ক্যানসার অস্থি মজ্জাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
টানা কাশি- টানা কাশি বহু রোগের লক্ষণ। টানা কাশি হলে বা কণ্ঠে ভারীভাব ফুসফুসের ক্যানসারের প্রধান উপসর্গ। কণ্ঠস্বরের কোনও পরিবর্তন বা ভারী হলে থাইরয়েড গ্রন্থির ক্যানসার হতে পারে।
ক্লান্তি না কমা-সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত হওয়াটা স্বাভাবিক। যদিও বহু রোগের কারণেও ক্লান্তি হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম পেয়েও ক্লান্ত বোধ করা লিউকেমিয়া অর্থাৎ ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ। কোলন বা পাকস্থলীর ক্যানসারের কারণে অ্যানিমিয়া হতে পারে। যে কারণে ওই ব্যক্তি ক্লান্ত বোধ করতে পারেন।
আরও পড়ুন- নীরবেই হচ্ছে হার্টের দফারফা, চিনুন সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের ৪ লক্ষণ
স্তনের আকার বদল- স্তনের আকারে কোনও পরিবর্তন হলে বা পিণ্ড স্তন ক্যানসারের লক্ষণ। স্তনের চারপাশে রঙের পরিবর্তন, স্তনের চারপাশে পরিবর্তন বা অস্বাভাবিক স্রাবের মতো লক্ষণগুলি দেখলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি।
গলায় সমস্যা- গলায় খাবার আটকে যাচ্ছে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গিলতে সমস্যা হচ্ছে? এটা গলা, ফুসফুস বা পেটের ক্যানসারের লক্ষণ।
এছাড়া যা যা লক্ষণ দেখা দেয়
- যে কোনও সময় জ্বর বা সংক্রমণ, যা ব্লাড ক্যানসারের বড় লক্ষণ।
- অবিরাম মাথাব্যথা যা ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে কারণ এটি মস্তিষ্কের টিউমারের লক্ষণ হতে পারে।
- পেট ফুলে থাকা এবং খিদে কমে যায়। এই অবস্থা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকলে কোলন ক্যানসার বা গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ।
- শরীরের কোনও অংশের ব্যথা বা ঘা না সারলেও ক্যানসারের লক্ষণ।