
ক্যাপসিকাম বর্তমানে অতি জনপ্রিয় একটি সবজি। ক্যাপসিকাম লাল, হলুদ, সবুজ, কমলা ও বেগুনি রঙের হতে পারে এবং এর স্বাদ সাধারণত মিষ্টি ও হালকা ঝালযুক্ত হয়। বিভিন্নভাবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। স্যালাড, স্যুপ ও চাইনিজ খাবারে মূলত ব্যবহৃত হয়। এটি শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে না, স্বাস্থ্য রক্ষায়ও অসাধারণ ভূমিকা রাখে।
বাজারে ক্যাপসিকাম সহজলভ্য। তবে এর দাম নির্ভর করে ঋতুর উপর। বাজারের উপর ভরসা না করে, নিজেই সহজে বাড়িতে চাষ করতে পারেন ক্যাপসিকাম। তাহলে প্রতিটি ঋতুতে তাজা ক্যাপসিকাম উপভোগ করতে পারবেন। জেনে নিন সহজ পদ্ধতি।
ক্যাপসিকাম চাষের উপায়
প্রথমে ১০-১২ ইঞ্চি গভীর একটি টব বেছে নিন। টবের নিচে নিষ্কাশনের জন্য ছিদ্র থাকা জরুরি। প্রতি টবে শুধুমাত্র একটি গাছ লাগান। হালকা ও ঝুরঝুরে মাটি নিন। বাগানের মাটি, কোকোপিট , ভার্মিকম্পোস্ট মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন মাটিতে জল জমে না থাকে।
আপনি বীজ থেকেও এটি চাষ করতে পারেন। বীজ আধ ইঞ্চি গভীরে বপন করুন। ৭-১০ দিনের মধ্যে চারা বের হবে। এই গাছের প্রতিদিন ১২-১৬ ঘণ্টা আলোর প্রয়োজন হয়। যদি জানালা দিয়ে পর্যাপ্ত সূর্যালোক না আসে, তবে একটি এলইডি গ্রো লাইট লাগানোর কথা ভাবতে পারেন।
দিনের বেলায় তাপমাত্রা ২১ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের বেলায় ১৫ থেকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা উচিত। আবহাওয়া খুব শুষ্ক হলে, গাছের কাছে একটি বাটিতে জল রাখুন। প্রতিদিন জল দেবেন না। মাটির উপরের স্তর শুকনো মনে হলেই জল দিন। অতিরিক্ত জল দিলে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে।
ঘরের ভেতরে পোকামাকড় পরাগায়নে সাহায্য করে না, তাই গাছটিকে আলতো করে ঝাঁকান বা একটি ছোট ব্রাশ দিয়ে ফুলগুলো ছুঁয়ে দিন। প্রতি ১৫-২০ দিন অন্তর হালকা জৈব সার দিন। ফুল আসার সময় পটাশিয়াম সার দেওয়া ভাল। তবে অতিরিক্ত সার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। শুকনো বা হলুদ পাতাগুলো ছেঁটে ফেলুন, এটি গাছকে আরও বেশি ফল উৎপাদনে সাহায্য করবে।
ক্যাপসিকাম ৬০-৯০ দিনের মধ্যে পরিপক্ক হয়। আপনি এগুলো সবুজ বা লাল অবস্থাতেই তুলতে পারেন। সময়মতো ফল তুলতে থাকুন, তাহলে নতুন ফল আসতেই থাকবে।