Capsicum Benefits : লাল, সবুজ ও হলুদ রঙে পাওয়া ক্যাপসিকাম স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারী। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, ভিটামিন এ এবং বিটা-ক্যারোটিনের এটি প্রধান উৎস। প্রধানত শাকসবজি, নুডুলস এবং সাজসজ্জার জন্য ব্যবহার করা ক্যাপসিকাম অনেকে আবার স্যালাড রূপে খেতেও পছন্দ করেন। ক্যাপসিকামে ক্যালরির পরিমাণ নগণ্য, যার কারণে কোলেস্টেরল বাড়ে না। চোখের জন্য অনেক উপকারী এই সবজি। এ ছাড়াও ক্যাপসিকামের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।
ক্যাপসিকামের উপকারিতা
আপনি যদি ওজন কমানোর চিন্তায় থাকেন, তাহলে ক্যাপসিকাম আপনার জন্য খুবই উপকারী। এতে খুব কম পরিমাণে ক্যালোরি থাকে যা ওজন কমাতে সহায়ক। এতে মেটাবলিজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। ক্যালরি পোড়ানোর পাশাপাশি এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে দেয় না। ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ ক্যাপসিকাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খুব ভালো উৎস। এর পাশাপাশি হৃদরোগ, হাঁপানি এবং ছানি প্রতিরোধেও এটি খুবই উপকারী।
চোখের জন্য উপকারী। ক্যাপসিকাম ক্যানসার প্রতিরোধেও খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি ক্যানসার কোষকে বাড়তে দেয় না। প্রতিদিন একটু করে ক্যাপসিকাম খেলে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। ওজন কমাতেও সাহায্য করে এটি।
পরামর্শ নেওয়া জরুরি
ক্যাপসিকামে এমন উপাদান পাওয়া যায়, যা মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে দেয় না। এছাড়াও এতে উপস্থিত অনেক উপাদান প্রাকৃতিক ব্যথানাশকের মতো কাজ করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কার্যকর। এটি ফুসফুসের ইনফেকশন, অ্যাজমা রোগেও উপকারী। এর পাশাপাশি ক্যাপসিকাম ত্বকের সমস্যাও রোধ করে। তবে কোনও কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ, কোনও খাবার বা সবজির গুণাবলীও যেমন থাকে, কেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে। ফলে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অনেকের বিভিন্ন রকম খাবার অ্যালার্জির সমস্যা থাকতে পারে। তাই কোনও খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন।