আমাদের আশেপাশে এমন অনেক পাতা আছে যার গুণ সম্পর্কে আমরা কোনও খোঁজ খবরই রাখে না। অথচ সাধারণ দেখতে এই শাক-পাতাই শরীরের নানান কাজে লাগে। তেমনই একটি হল থানকুনি পাতা। থানকুনি পাতার মধ্যে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের উপকারের জন্য হাজার একটা গুণ রয়েছে। একদিকে যেমন এটি আলসার সারিয়ে তোলে। অন্যদিকে তেমনই প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়। বিশদে জেনে নেওয়া যাক থানকুনি পাতার গুণাগুণ।
রক্ত চলাচল ঠিক রাখে
অনেকের থ্রম্বোসিস অর্থাৎ রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা থাকে। এতে রক্ত প্রবাহ ঠিকমতো হয় না। থানকুনি পাতা খেলে এই সমস্যার থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
অনিদ্রার সমস্যা দূর করে
রাতে ঘুম কম হয়, এমন অনেকেই রয়েছেন। অনেকের অনিদ্রার সমস্যাও রয়েছে। থানকুনি পাতার পুষ্টিগুণ স্নায়ু শিথিল করে দেয়। এর ফলে বেশ ভাল ঘুম হয়।
ডিপ্রেশন কাটাতে উপকারী
থানকুনি পাতার রস স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। এর ফলে মানসিক অবসাদ অর্থাৎ ডিপ্রেশনের থেকে সহজে রেহাই পাওয়া যায়।
ক্ষত সারিয়ে তোলে
ত্বকের কোথাও কেটে গেলে থানকুনি পাতার রস লাগানো বেশ ভাল। এতে কাটা অংশের জ্বালাপোড়া কমে যায়।
আলসার দূর করে
পেটের একটি কঠিন ব্য়ধি হল আলসার। এই আলসারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা। থানকুনি পাতার মধ্যে পুষ্টিগুণ পেট খারাপের সমস্য়াও বেশ উপযোগী।
ব্রেনের জন্য উপকারী
স্ট্রেসের কারণে ব্রেনের স্নায়ুকোশের অনেকটাই ক্ষতি হয়। স্নায়ুকোশগুলির এই ক্ষতি রোধ করে থানকুনি পাতার পুষ্টিগুণ। এটি স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে ব্রেনকে ভাল রাখে।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে আমরা নানা প্রসাধনীর উপর ভরসা রাখি। কিন্তু এই মাঠেঘাটের শাকই আমাদের ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। এর ম্যাডেকাসসাইড অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো কাজ করে। এতে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।
চুল পড়া কমায়
থানকুনি পাতা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই উপাদানগুলি চুলের গোড়া মজবুত করে। চুল ঘন করে।
কারা খাবেন না এই পাতা
-লিভারের সমস্যা থাকলে থানকুনি পাতা না খাওয়াই ভাল। এতে রোগের জটিলতা বেড়ে যায়।
-বেশি থানকুনি পাতা মাথা ঘুরতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
-যাদের অ্যালার্জি রয়েছে, তারা খাওয়ার সময় সতর্ক হোন।