জীবনে সফল হওয়ার জন্য নীতিকথা শুনিয়ে গিয়েছেন আচার্য চাণক্য। জীবনে সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে চাইলে আচার্য চাণক্যের নীতি কথা জীবনে মেনে চললে সাফল্য মেলে। আচার্য চাণক্য বলেছেন, কাজ করতে গিয়ে যাঁদের মন অস্থির থাকে, তাঁরা কখনও সময়ে কাজ শেষ করতে পারেন না। অস্থির মনের অধিকারী এবং যাঁর চিন্তা-ভাবনা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়, তাঁরা কোনও কাজ সম্পন্ন করতে পারেন না। চঞ্চল মনের মানুষ সবকিছু সন্দেহের চোখে দেখে।
ভারতের মহান দার্শনিক আচার্য চাণক্য। অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিক হিসেবেও তিনি সর্বজনবিদিত। তিনি দিয়ে গিয়েছেন সাফল্যর পাঠ। কয়েকশো বছর কেটে গেলেও এখনও প্রাসঙ্গিক চাণক্যর শ্লোক। তেমনই দুটি শ্লোক তুলে ধরা হল। এই দুটি শ্লোক জীবনের পাঠ দেয়।
হস্তগতাবমাননাত কার্যত্যনিক্রমো ভবতি
আচার্য চাণক্য নিজের এই শ্লোকে বলেছেন, যে কোনও কাজ শেষ করার জন্য মানুষের হাতে যত সম্পদই থাকুক না কেন, তার যথাযথ ব্যবহার করা উচিত। যে সম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে না, সে সফল হতে পারে না। নির্বোধরা লক্ষ্য হাসিল করার জন্য এমন সব জিনিসপত্র খোঁজে যা তারা পায় না। কঠিন কাজ কীভাবে করবে, তার কাছে কোনও দিশা থাকে না। নিজের হাতে থাকা শক্তি বা সম্পদ সম্পর্কে তাঁদের জ্ঞান নেই। ব্যক্তির চিন্তাভাবনা স্থির না থাকলে সে কোনও কাজে সাফল্য পায় না। যার চিন্তাভাবনা স্থির নেই, সে ভাবতে পারে না।
দোষবর্জিতানি কার্যাণি দূর্লভাণি
এই শ্লোকে আচার্য চাণক্য বলেছেন যে, পৃথিবীতে এমন কাজ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, যেখানে কোনও সমস্যা নেই। মানুষ যে কাজ করে তাতে কোনও না কোনও সমস্যা থাকেই। সমস্যা ছাড়া কোনও কাজ হয় না। মানুষ নিজেই ত্রুটিপূর্ণ। ফলে যে কাজ করব তাতে বাধা বা সমস্যা আসবে না, এমনটা ভাবাও ঠিক নয়। ভুল-ত্রুটি নিয়ে একেক এক ব্যক্তির ভাবনা অন্যরকম। প্রকৃতির দিকে তাকালেও দেখা যাবে তাতেও ত্রুটি রয়েছে। তাই মনের মতো কাজ হবে, এমনটা ভাবাই উচিত নয়।