ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন আচার্য চাণক্য। তাঁর বুদ্ধি ও মেধার কোনও কূল নেই। মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করবেন, সেনিয়ে নীতিকথা কথা লিখে গিয়েছেন চাণক্য। যা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। সফল ও সুখী জীবনযাপনের জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চাণক্যনীতি। অতীত, বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ- সবকিছুই বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন চাণক্য। চাণক্য তাঁর নীতিতে এমন অনেক কথা লিখে গিয়েছেন যা আজকের দুনিয়াতেও প্রযোজ্য। তাঁর প্রতিটি কথার অর্থ রয়েছে। সেভাবেই আচার্য চাণক্য লিখে গিয়েছেন, মায়ের গর্ভের শিশুর ভবিষ্যতের পাঁচটি বিষয় স্থির হয়ে যায়। কী সেটা?
শ্লোক- আয়ুঃ কর্ম বিথঞ্চ বিদ্যা নিধানমেব চ। পঞ্চৈতানি হি সৃজ্যন্তে গর্ভস্থস্যৈব দেহিনঃ॥
শ্লোকের মানে- আচার্য চাণক্য এই শ্লোকের মাধ্যমে বলেছেন যে কোনও ব্যক্তির বয়স, কর্ম, অর্থ, শিক্ষা, মৃত্যু তাঁর ভাগ্যে লেখা হয়ে যায় যখন সে গর্ভে থাকে।
বয়স- আচার্য চাণক্যের মতে,কোনও ব্যক্তির বয়স তার জন্মের আগে লেখা হয়ে যায়।
বিদ্যা- আচার্য চাণক্যের মতে, কোনও ব্যক্তি কতটা জ্ঞানার্জন করবেন সে সম্পর্কে তাঁর ভাগ্যেই লেখা হয়ে যায়। সেই জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার পর ভাগ্যের সঙ্গে লড়াই করতে হয় সেই ব্যক্তিকে। তাঁকে নানান বাধাবিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয়। সেই সব বাধা পেরোলেই সাফল্য পান তিনি।
কর্ম- আচার্য চাণক্যের মতে, ব্যক্তির কর্ম অতীত কর্ম থেকে গণনা করা হয়। এর উপর ভিত্তি করেই আজকের জীবন। এ কারণেই সবসময় ভাল কাজ করা উচিত। কারণ কেউ অন্যায় করলে তার ফল পরবর্তী জীবনেও বইতে হয়। মানসিক, শারীরিক, মানসিক ও পারিবারিক সমস্যার কথা লেখা থাকে ভাগ্যে।
অর্থ- ব্যক্তির অর্থনৈতিক অবস্থাও গর্ইভে লেখা থাকে। ভাগ্যের চেয়ে বেশি টাকা কেউ পায় না। যদি কোনও মানুষের ভাগ্যে লেখা থাকে, সে কম অর্থ উপার্জন করতে পারে। সে যতই পরিশ্রম করুক না কেন,তার বেশি আয় করতে পারবে না। বেশি টাকা কামালেও অর্থ ধরে রাখতে পারবে না।
মৃত্যু- আচার্য চাণক্যের মতে,মৃত্যুও ব্যক্তির গর্ভাবস্থায় লেখা হয়ে থাকে। কখন এবং কীভাবে তাঁর মৃত্যু হবে তা আগে থেকে স্থির থাকে। তাই যেভাবেই হোক না কেন সেই বয়সেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।