Advertisement

Chanakya Niti: বিবাহিত পুরুষদের এই ৫ কাজ কখনই করা উচিত নয়, সংসারে অশান্তি হয়

বিবাহিত জীবনকে সুখী ও সমৃদ্ধ করার জন্য চাণক্য নীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রদান করে। বিবাহিত পুরুষদের জন্য, আচার্য চাণক্য কিছু ভুল চিহ্নিত করেছেন যা এড়ানো প্রয়োজন, যাতে বিবাহিত জীবনে সম্প্রীতি, বিশ্বাস এবং ভালবাসা বজায় থাকে।

বিবাহিত পুরুষদের এই ৫ কাজ কখনই করা উচিত নয়, সংসারে অশান্তি হয়বিবাহিত পুরুষদের এই ৫ কাজ কখনই করা উচিত নয়, সংসারে অশান্তি হয়
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 28 Jun 2025,
  • अपडेटेड 6:16 PM IST
  • চাণক্য নীতি অনুসারে, একজন স্ত্রী হলেন পরিবারের ভিত্তি
  • স্ত্রীকে অসম্মান করা এবং তাঁর অনুভূতিকে অবহেলা করা উচিত নয়

আচার্য চাণক্য, যিনি কৌটিল্য বা বিষ্ণুগুপ্ত নামেও পরিচিত, প্রাচীন ভারতের একজন মহান দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং কৌশলবিদ ছিলেন। তাঁর রচনা, বিশেষ করে চাণক্য নীতি, এখনও জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। বিবাহিত জীবনকে সুখী ও সমৃদ্ধ করার জন্য চাণক্য নীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রদান করে। বিবাহিত পুরুষদের জন্য, আচার্য চাণক্য কিছু ভুল চিহ্নিত করেছেন যা এড়ানো প্রয়োজন, যাতে বিবাহিত জীবনে সম্প্রীতি, বিশ্বাস এবং ভালবাসা বজায় থাকে। আসুন জেনে নিই একজন বিবাহিত পুরুষের কী করা উচিত নয়।

স্ত্রীর প্রতি অসম্মান এবং অবহেলা

চাণক্য নীতি অনুসারে, একজন স্ত্রী হলেন পরিবারের ভিত্তি। একজন বিবাহিত পুরুষের উচিত তাঁর স্ত্রীকে অসম্মান করা এবং তাঁর অনুভূতিকে অবহেলা করা উচিত নয়। চাণক্যের মতে, যে পুরুষ তাঁর স্ত্রীকে অসম্মান করেন তিনি ঘরের শান্তি নষ্ট করেন। স্ত্রীকে অপমান করা কেবল বিবাহিত জীবনে উত্তেজনা বাড়ায় না। বরং পারিবারিক পরিবেশকেও নষ্ট করে। বিবাহিত পুরুষদের উচিত তাঁদের স্ত্রীর মতামতকে মূল্য দেওয়া, তাঁর অনুভূতি বোঝা এবং তাঁকে সমান মর্যাদা দেওয়া। অসম্মান বা অবহেলার মতো ভুল সম্পর্কে ফাটল তৈরি করতে পারে।

আরও পড়ুন

বিশ্বাসঘাতকতা এবং অবিশ্বাস

চাণক্য নীতিতে বিবাহিত জীবনের মূল চাবিকাঠি হল বিশ্বাস। একজন বিবাহিত পুরুষের তাঁর স্ত্রীর প্রতি অনুগত থাকা উচিত। অবিশ্বাস বা বিশ্বাসঘাতকতা কেবল সম্পর্কই ভেঙে দেয় না বরং পরিবারের ভিত্তিকেও দুর্বল করে দেয়। চাণক্য নীতি অনুসারে, একবার বিশ্বাস ভেঙে গেলে এটি পুনর্নির্মাণ করা খুব কঠিন। এই কারণে, পুরুষদের এমন কোনও কার্যকলাপ এড়ানো উচিত যা তাঁদের স্ত্রীর বিশ্বাসকে আঘাত করে। তা মানসিক বিশ্বাসঘাতকতা হোক বা শারীরিক, উভয়ই বিবাহিত জীবনকে ধ্বংস করতে পারে।

রাগ এবং আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ

চাণক্য নীতিতে, রাগকে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই কারণে, বিবাহিত পুরুষদের রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া এড়ানো উচিত। রাগের বশে নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রায়শই ভুল হয় এবং সম্পর্কে তিক্ততা নিয়ে আসে। চাণক্য নীতি অনুসারে, রাগের বশে নেওয়া সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী। স্ত্রী বা পরিবারের সঙ্গে বিবাদে পুরুষদের ধৈর্য ধরতে হবে। শান্ত কথোপকথন এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিত। রাগের বশে চিৎকার করা, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা বা সহিংসতা সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।

Advertisement

পারিবারিক দায়িত্ব থেকে পালানো

চাণক্য নীতিতে, একজন পুরুষকে পরিবারের রক্ষক এবং তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একজন বিবাহিত পুরুষের তাঁর পারিবারিক দায়িত্ব থেকে পালানো উচিত নয়। তা সে সন্তান লালন-পালন, স্ত্রীকে সাহায্য করা বা অন্যান্য গৃহস্থালির কাজ হোক না কেন। একজন পুরুষের উচিত তাঁর পূর্ণ ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করা। চাণক্য নীতি অনুসারে, যে পুরুষ তাঁর দায়িত্ব থেকে পালাতে পারেন তিনি তাঁর পরিবারের সম্মান হারান। পরিবারের প্রতি অবহেলা বা উদাসীনতা সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে। এই কারণে, পুরুষদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা উচিত এবং তাঁদের দায়িত্ব পালনের সময় স্ত্রীর সহায়ক হওয়া উচিত।

অন্যদের সঙ্গে তুলনা

চাণক্য নীতি অনুসারে, তুলনা সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তোলে। বিবাহিত পুরুষদের তাঁদের স্ত্রীদের অন্য মহিলাদের সঙ্গে বা তাঁদের বিবাহিত জীবনকে অন্য দম্পতির সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়। প্রতিটি ব্যক্তি এবং সম্পর্ক অনন্য। তুলনা স্ত্রীর মনে হীনমন্যতা বা নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি তৈরি করতে পারে। চাণক্য নীতি অনুসারে, সন্তুষ্টিই প্রকৃত সুখ। পুরুষদের তাঁদের স্ত্রী এবং তাঁদের জীবনের শক্তি চিনতে এবং উপলব্ধি করা উচিত।

Read more!
Advertisement
Advertisement