Advertisement

চাণক্য নীতি: মানুষের জন্মের আগেই এই ৫ জিনিস ঠিক হয়, কেউ বদলাতে পারে না

আচার্য চাণক্য, যাঁকে কৌটিল্য এবং বিষ্ণুগুপ্ত নামেও পরিচিত, জীবনকে সহজ ও বোধগম্য করার জন্য তাঁর নীতিগ্রন্থগুলিতে বেশ কিছু নীতি প্রদান করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে একজন ব্যক্তির জীবন কেবল তার কর্মের উপর নির্ভর করে না, বরং কিছু বিষয় তার জন্মের আগেই নির্ধারিত হয়।

চাণক্য নীতি: মানুষের জন্মের আগেই এই ৫ জিনিস ঠিক হয়, কেউ বদলাতে পারে নাচাণক্য নীতি: মানুষের জন্মের আগেই এই ৫ জিনিস ঠিক হয়, কেউ বদলাতে পারে না
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 07 Nov 2025,
  • अपडेटेड 1:12 PM IST
  • আচার্য চাণক্য বলেছেন যে প্রতিটি ব্যক্তির জীবন তার কর্মের উপর নির্ভর করে
  • তিটি ব্যক্তির আর্থিক অবস্থা জন্মের আগেই নির্ধারিত হয়

আচার্য চাণক্য, যাঁকে কৌটিল্য এবং বিষ্ণুগুপ্ত নামেও পরিচিত, জীবনকে সহজ ও বোধগম্য করার জন্য তাঁর নীতিগ্রন্থগুলিতে বেশ কিছু নীতি প্রদান করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে একজন ব্যক্তির জীবন কেবল তার কর্মের উপর নির্ভর করে না, বরং কিছু বিষয় তার জন্মের আগেই নির্ধারিত হয়। এই বিষয়গুলি একজন ব্যক্তির ভাগ্য, পরিস্থিতি এবং জীবনের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করে। আসুন পাঁচটি অপরিহার্য নীতি দেখি যা চাণক্য বিশ্বাস করতেন যে জন্মের আগেই প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে লেখা ছিল।

আচার্য চাণক্য বলেন যে প্রতিটি ব্যক্তির বয়স তার জন্মের আগেই নির্ধারিত হয়। যখন একটি শিশু মায়ের গর্ভে থাকে, তখন তারা এই পৃথিবীতে কতদিন বেঁচে থাকবে তা ইতিমধ্যেই লেখা থাকে। এর অর্থ হল, কেউ তাদের নির্ধারিত সময়ের আগে মারা যেতে পারে না। চাণক্যের মতে, মৃত্যু এমন একটি জিনিস যা কেউ তাড়াহুড়ো বা স্থগিত করতে পারে না। অতএব, আমাদের বয়স নিয়ে ভয় বা চিন্তিত হওয়া বন্ধ করা উচিত।

প্রায়শই, মানুষ খারাপ কিছু ঘটলে কী হবে, অথবা মৃত্যু আসবে কিনা তা নিয়ে চিন্তা করে। কিন্তু চাণক্য ব্যাখ্যা করেন যে এই ধরনের ভয় কেবল আমাদের মনেই থাকে। আসলে, যা ঘটতে চলেছে তা তার সময়েই ঘটবে। অতএব, ভয়ে বেঁচে থাকার পরিবর্তে, আমাদের কর্ম, কঠোর পরিশ্রম এবং লক্ষ্যের উপর মনোনিবেশ করা উচিত।

আরও পড়ুন

কর্ম

আচার্য চাণক্য বলেছেন যে প্রতিটি ব্যক্তির জীবন তার কর্মের উপর নির্ভর করে। আমরা আজ কে তা আমাদের অতীত জন্মের কর্মের ফলাফল এবং আমাদের আজকের কর্মই নির্ধারণ করবে যে আমরা ভবিষ্যতে কে হব। চাণক্যের মতে, একজন ব্যক্তির কর্মের পরিণতি গর্ভধারণের আগেই নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ, এই জীবনে আমরা যে সুখ বা দুঃখ, সাফল্য বা ব্যর্থতা অনুভব করি তা আমাদের অতীত কর্মের ফলাফল। যদি কেউ জীবনে সমস্যার সম্মুখীন হয়, তবে এর অর্থ এই নয় যে তার দুর্ভাগ্য আছে; বরং, চাণক্য বলেছেন যে এটি তার অতীত কর্মের ফলাফল, যা তাদের এখনই অনুভব করা বা সংশোধন করা দরকার।

Advertisement

আর্থিক অবস্থা

আচার্য চাণক্য বলেছেন যে প্রতিটি ব্যক্তির আর্থিক অবস্থা জন্মের আগেই নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তি জীবনে কতটা সম্পদ, সম্পত্তি এবং আরাম উপভোগ করেন তা পূর্বনির্ধারিত। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে কঠোর পরিশ্রম অর্থহীন।

চাণক্য আমাদের শিক্ষা দেন যে, ভাগ্য এবং কঠোর পরিশ্রমের ভারসাম্যের মাধ্যমেই প্রকৃত সাফল্য আসে। যদি ভাগ্যই সবকিছু দিতে পারত, তাহলে কেউ কঠোর পরিশ্রম করত না, আর যদি কঠোর পরিশ্রমই সবকিছু অর্জন করতে পারত, তাহলে সবাই ধনী হত। অতএব, জীবনে ভারসাম্য অপরিহার্য। কঠোর পরিশ্রম করতে থাকো, কিন্তু ভাগ্য যা লিখে রেখেছে তা মেনে নাও।

শিক্ষা এবং জ্ঞান

আচার্য চাণক্য বলেন যে, প্রতিটি ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তা, বোধগম্যতা এবং শেখার ক্ষমতা জন্মের আগেই নির্ধারিত হয়ে যায়। কারো কারো গভীরভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা থাকে, আবার কারো কারো দ্রুত শেখার ক্ষমতা থাকে; প্রকৃতি এই সবকিছু পূর্বনির্ধারিত করে রেখেছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা অকেজো।

চাণক্য ব্যাখ্যা করেন যে, প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে একটি অনন্য প্রতিভা লুকিয়ে থাকে এবং যদি তা স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং সঠিক দিকে পরিচালিত করা হয়, তাহলে তাদের জ্ঞান আরও উন্নত করা যেতে পারে। সঠিক নির্দেশনা, ধৈর্য এবং ক্রমাগত শেখার আকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে, একজন ব্যক্তি তার সীমাবদ্ধতাগুলি অতিক্রম করতে পারে।

মৃত্যু

আচার্য চাণক্য বলেন যে, একজন ব্যক্তির জন্মের আগেই মৃত্যুর সময় নির্ধারিত হয়ে যায়। কেউ কখন, কোথায় বা কীভাবে মারা যাবে তা কেউ জানতে পারে না। এটি জীবনের একটি সত্য যা থেকে কেউই পালাতে পারে না, সে রাজা হোক বা সাধারণ মানুষ। চাণক্য ব্যাখ্যা করেছেন যে মৃত্যুর ভয় মানুষকে দুর্বল করে দেয়, কিন্তু যখন আমরা বুঝতে পারি যে মৃত্যু নিশ্চিত এবং এর সময় পূর্বনির্ধারিত, তখন ভয়ের কোনও কারণ থাকে না।

Read more!
Advertisement
Advertisement