পাঁঠার মাংসের মেটে চচ্চড়ি অনেকেই পছন্দ করেন। তবে পাঁঠার তুলনায় মুরগির মেটের অর্থাৎ লিভার (যকৃৎ) পুষ্টিগুণ কোনও অংশে কম নয়, এটা অনেকেরই অজানা। চচ্চড়ি হোক কিংবা কষা বা ঝোলের মধ্যে মেটে যোগ করলে, যেমন খেতে ভাল, সেরকম উপকারও অনেক। মুরগির মেটে খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়?
মুরগির মেটের উপকারীতা
* মুরগির লিভারে রয়েছে জিঙ্ক। যা জ্বর, টনসিলাইটিস, সর্দি-কাশি সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও, মুরগির লিভারে থাকা কোলাজেন ও ইলাস্টিন শরীরের শিরা-উপশিরায় রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে।
* মুরগির মেটে প্রোটিনের ভাল উৎস। হাড় ও পেশির গঠন মজবুত করে। শরীরের বিভিন্ন অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করতে, দ্রুত ওজন বাড়াতে মুরগির মেটের জুড়ি মেলা ভার।
* মুরগির লিভারে ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার ছাড়াও আরও অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। এতে থাকা ভিটামিন-এ এবং বি আমাদের দৃষ্টিশক্তি ও মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। ডায়েবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়াও, এতে মজুত ফাইবার ও আয়রন হার্টের জন্য খুব উপকারি।
* এতে রয়েছে সেলেনিয়াম নামের আরও একটি জরুরি উপাদান। যা ক্লোন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এছাড়াও সেলেনিয়াম শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ছোট-বড় সংক্রমণ, শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যথা, কৃমির সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।
* শরীরে হিমোগ্লোবিন কম থাকলে মুরগির মেটে কাজে আসে। নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখলে অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর হয়।
* পুষ্টিবিদদের মতে, মুরগির লিভারে দস্তা বা জিঙ্ক রয়েছে। যা, শরীরের নানান অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
* এটি দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে। এতে থাকা উপকারী উপাদান ক্যাভিটি প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং দাঁত মজবুত রাখে।
কাদের জন্য ক্ষতিকর?
যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের অন্যান্য সমস্যা আছে, তাদের মুরগির মেটে না খাওয়াই ভাল। এছাড়া অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খুব বেশি মুরগির মেটে খাওয়া উচিত না। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ-এর জন্যে সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।