মধ্যপ্রদেশে 'কোল্ডরিফ' কাফ সিরাপ খেয়ে প্রাণ হারিয়েছে একাধিক শিশু। তার পর থেকেই সারা দেশের মানুষের মধ্যে এই সিরাপ নিয়ে ভয় দানা বেঁধেছে। আর এই ভয়কে অবশ্য ভালো বলেই মনে করেন কলকাতার বিশিষ্ট মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র।
তাঁর সাফ কথা, 'আমি অনেকদিন ধরেই কাফ সিরাপ খাওয়ার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি। আসলে এই ওষুধগুলির প্ল্যাসিবো এফেক্ট রয়েছে। অর্থাৎ সিরাপ খেলেও যা হবে, না খেলেও তাই হবে। উল্টে খেলে বাড়বে বিপদ।'
কী কী সমস্যা হতে পারে?
কাফ সিরাপ নিজের বুদ্ধিতে খেলে অনেক সমস্যা হওয়ার রয়েছে আশঙ্কা। সেক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডের গতি বিগড়ে যেতে পারে। যার ফলে হার্টের ভয়াবহ সমস্যার রয়েছে আশঙ্কা।
তাই বারবার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে কাফ সিরাপ চাইবেন না। মনে হলে চিকিৎসক নিজেই দেবেন। আর নিজের বুদ্ধিতে বা ওষুধের দোকানে বলে তো এটা খাবেনই না। নইলে বড় বিপদ হতে পারে বলে মনে করেন ডাঃ মিত্র।
কাফ সিরাপের জন্য কি মৃত্যু হতে পারে?
এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'না, এমনটা হওয়ার আশঙ্কা কম। কাফ সিরাপ খেলে মৃত্যুর আশঙ্কা নেই। তবে শরীরে অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। যেই মৃত্যুগুলি ঘটেছে, সেগুলি দেখতে হবে ঠিক কী কারণে।'
তাহলে কাশি হলে করবেন কী?
এই প্রশ্নের উত্তরে ডাঃ মিত্র জানালেন, সাধারণত অধিকাংশ কাশিই ভাইরাসের জন্য হয়। আর এই ধরনের কাশি নিজের থেকেই সেরে যায়। কোনও ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি কাশি না কমে, তাহলে অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ওষুধ খেতে পারেন। নিতে পারেন স্টিম। তাতে সমস্যার আশঙ্কা কম। তবে কাশির সিরাপ এড়িয়ে যান।
কাশি যদি অনেকদিন থাকে?
এমন পরিস্থিতিতে দেখতে হবে যে কাশিটা অ্যাজমার দিকে যাচ্ছে কি না। সেক্ষেত্রে সমস্যা কমাতে নেওয়া যেতে পারে ইনহেলার। তাতে উপকার মিলবে দ্রুত। তবে কাফ সিরাপ এড়িয়ে চলাই ভালো বলে জানালেন ডাঃ মিত্র।
কফ হলুদ বা সবুজ হলে ডাক্তার দেখান
কফের রং সাদা থাকলে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন নেই। এই সময় অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। তবে এর রং হলুদ বা সবুজ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে অ্যান্টিবায়োটিক। তাতেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।