শীত এসে গেছে। আর এই ঋতুতে খুশকি (Dandruff) একটি গুরুতর সমস্যা। যে কোনও ব্যক্তির ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। খুশকির জন্য মাথার ত্বকে চুলকানি হতে পারে। ত্বক শুষ্ক, শক্ত হয়ে যাওয়া, চুলকানি এবং কিছু চরম ক্ষেত্রে লাল এবং ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এছাড়াও এর ফলে বহু মানুষকে বিব্রত হতে হয়। খুশকি দূর করার কিছু সহজ ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। জানুন কীভাবে দূর করতে পারেন এই সমস্যা।
কেন হয় খুশকি? (Why Dandruff Occurs)
* শুষ্ক ত্বক: শীতকালে, বাতাসে আর্দ্রতার অভাবের কারণে ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়, যা খুশকির কারণ হতে পারে।
* কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস: অ্যালার্জেন বা এধরনের অন্যান্য কারণে ত্বকের জ্বালার ফলে চুলকানি এবং বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি হয়। খুশকির ক্ষেত্রে, এটি মাথার ত্বকে হয়। সাধারণত হেয়ারকেয়ার পণ্যের রাসায়নিকের কারণে ঘটে।
* খারাপ শ্যাম্পু: অনিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়া, খুশকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। কিংবা ভুল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুলেও খুশকি হতে পারে।
খুশকির ঘরোয়া প্রতিকার (Home Remedies for Dandruff)
* লেবু স্ক্রাব
খুশকি অত্যন্ত বিরক্তিকর হতে পারে। তবে তা সত্ত্বেও আপনাকে আপনার মাথার ত্বকের যত্ন সহকারে চিকিৎসা করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে, স্ক্যাল্পের ক্ষতি না হয়। একটি লেবুকে অর্ধেক করে কেটে নিন, যে অংশে সবচেয়ে বেশি চুলকানি বা খুশকি রয়েছে, সেখানে লেবুর রস লাগান আলতো করে। অবশিষ্ট খোসাটি স্ক্যাল্পে ঘষুন। লেবুর অ্যাসিডিক প্রকৃতির কারণে, একটি চিরচির অনুভব করতে পারেন। ভয় না পেয়ে ১০ মিনিটের জন্য, স্ক্যাল্পে আলতোভাবে স্ক্রাব করতে থাকুন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* দই
দইয়ের প্রোবায়োটিক প্রকৃতি আপনার মাথার ত্বক মেরামত করে। এক বাটি দইয়ের অর্ধেকটা নিয়ে ভাগ ভাগ করে চুলের গোড়ায় লাগান। এবার বাকি দইটা স্ক্যাল্পে লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* মেথি ও কারি পাতার গুঁড়ো
মেথি ও কারি পাতা - এই দুই রান্নাঘরের উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। উভয়ের একটি পাউডার তৈরি করুন এবং এটি সাপ্তাহিক মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করুন। এটি শুধুমাত্র চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে না বরং আপনার মাথার ত্বকের সমস্ত সমস্যা দূর করবে।