Advertisement

Dehydration Remedies: গরমে শরীর জলশূন্য হয়, এসব খাবারে সুস্থ থাকতে পারবেন

Dehydration: গ্রীষ্মকালে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। যার কারণে মানুষ জলশূন্যতার সমস্যায় পড়ে। এই ঋতুতে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায় এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে।

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 24 Apr 2024,
  • अपडेटेड 2:14 PM IST

গরমের তীব্র দাবদাহে নাজেহাল সকলে। প্রচুর মানুষ গ্রীষ্মে ত্বকের নানা সমস্যায় পড়েন। গ্রীষ্মকালে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। যার কারণে মানুষ জলশূন্যতার সমস্যায় পড়ে। এই ঋতুতে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায় এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি ও মরসুমি ফল অন্তর্ভুক্ত করুন। কিছু খাবার আছে, যা ডায়েটে যোগ করতে পারেন এই প্রবল গরমে।

টমেটো- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, লাইকোপিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান টমেটোতে পাওয়া যায়। পুরো শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি, এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে। টমেটোর রায়তা, স্যালাড, স্যান্ডউইচে দিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া টমেটো ভাজা বা পোড়াও খেতে পারেন।

তরমুজ- গ্রীষ্মে তরমুজ খাওয়া খুব ভাল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জল। যা, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। তরমুজে লাইকোপেন নামক উপাদান থাকে। এটি সূর্যের রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তরমুজের বীজ রান্না করে খাওয়া হয়। এই বীজগুলি শরীরের অভ্যন্তরীণ শীতলতা প্রদানের ক্ষমতা রাখে। এগুলি ব্রেকফাস্টে স্যালাডের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। তরমুজ থেকে জ্যাম, জেলি ও মরব্বাও তৈরি করে খাওয়া যায়।

ভুট্টা - ভুট্টাতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান যা, শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ভুট্টায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের রশ্মি থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। গরমে ভুট্টা খেলে শরীরে জলের অভাব হয় না। এটি স্যালাড, স্ন্যাকস, সবজি ইত্যাদি হিসাবে খাওয়া যায়।

জল- গরমের সময় শরীরে জলের অভাব হলে মাথাব্যথা, দুর্বলতা ও অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। তাই নিয়মিত ৩-৪ লিটার জল পান করা উচিত। গ্রীষ্মকালে নারকেল বা ডাবের জল, স্মুদি, লেবুর জল, জ্যুসস ইত্যাদি অন্যতম স্বাস্থ্যকর বিকল্প। 

Advertisement

মৌসম্বি লেবু- গরমে মৌসম্বি লেবু খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। এতে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মৌসম্বি লেবুর রস শুধু শরীরকে সুস্থ রাখে না, ত্বককেও উজ্জ্বল করে। এই লেবুর জ্যুস, স্যালাড, স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন।

সবুজ শাকসবজি- চিকিৎসক থেকে ডায়েটিশিয়ন, সবাই সবুজ শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন গরমে। সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টি উপাদান। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে যা, শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে। ব্রকলি, বাঁধাকপি, শসা ইত্যাদি শাকসবজি নিয়মিত ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এগুলো সবজি, স্যালাড, রায়তা, বাটারমিল্কের সঙ্গে মিশিয়ে এবং বাদামের দুধ ব্যবহার করে স্মুদি হিসাবে নেওয়া যেতে পারে।

বেরি- বেরিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ভিটামিন সি। গ্রীষ্মকালে এগুলি খেলে শরীর সুস্থ থাকে। বেরি খেলে ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল হয়। বেরি খেলে শরীরে জলের ঘাটতি হয় না এবং জলশূন্যতার সমস্যাও দূর হয়। 

কীভাবে খাবেন- সাধারণত গ্রীষ্মকালে মাছ ও মুরগির মাংসের মতো থার্মোজেনিক খাবার বেশিরভাগ রাতে খাওয়া উচিত। চিজ বা স্মুদি ইত্যাদি প্রোটিনের ভাল উৎস। ফলে দুপুরের খাবারে খেতে পারেন। বাজরা শীতকালে খাওয়া হয়। তাই গ্রীষ্মকালে বাজরার পরিবর্তে জোয়ারের রুটি খান। গ্রীষ্মে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে খাবারে সবজির রস, স্মুদি, বাটারমিল্ক এবং স্যালাড অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। গরমে হজমের সমস্যা দেখা যায়। তাই হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এছাড়াও, নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে জল, জ্যুস, স্মুদি এবং লেবুর জল খেতে থাকুন।


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement