পেস্ট কন্ট্রোলের ব্যবহারে বহুরকম সমস্যা হয়। হতে পারে শ্বাসকষ্ট থেকে বিভিন্ন অসুবিধা। তবে প্রাকৃতিক উপায়েও মশা ঘর থেকে তাড়ানো যায়। ঘরে যদি শিশু থাকে তাহলে তো প্রাকৃতিক পদ্ধতিই আপনার অনুসরণ করতে হবে। আসুন এই পদ্ধতিগুলো একবার দেখে নেওয়া যাক:
মশা প্রতিরোধকারী ফ্যান ও আলো ব্যবহার
ঠিক প্রাকৃতিক হয়তো একে বলা যায় না। তবে রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার না থাকায় এবং আলো ও বাতাসের মাধ্যমে যদি মশা দূর করা যায় তাহলে তা প্রাকৃতিক বলতে বাঁধা কোথায়। মশা তাড়ানোর বিশেষায়িত এক্সস্ট ফ্যান আছে। এই ফ্যান মশাকে ঘরের ভেতর ঢুকতে দেয় না। মশা যেভাবে উড়ে সেই ওড়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আর ঘরের যেখানে মশার জমাট বাধার সম্ভাবনা থাকে সেখানে হলুদ আলোর বাতি জ্বালিয়ে দিন। এই হলুদ আলো মশা তাড়াতে সাহায্য করে।
জানালায় পর্দা টানান
অনেকে বাড়িতে মশার নেট টানান। তারপরও ঘরের ভেতর জানালার সঙ্গে পর্দা টানিয়ে দিন। দরজাতেও তা করুন। এভাবে ঘরে মশার প্রবেশ করার সুযোগ অনেক কমে যাবে। বিশেষত দরজায় পর্দা লাগালে ও কোনো ফাঁক না রাখলে তো আরও ভাল।
সন্ধ্যা ও ভোরে জানালা বন্ধ
এই দুই সময় মশার একটা উৎপাত বাড়ে। তাই এই সময় জানালা বন্ধ করে দেবেন। যদিও এ সময় ঘরে গুমোট একটা পরিবেশ তৈরি হয়। তখন সিলিং ফ্যান ছেড়ে দেবেন।
মশা প্রতিরোধী গাছের কথা জানেন?
ইনডোর প্লান্টের শখ থাকলে ত ভাল। ডেকোরেশনের পাশাপাশি যদি মশা তাড়ানোর সুব্যবস্থা থাকে তাহলে তো ঝামেলাই নেই। সিট্রোনেলা ও ল্যাভেন্ডারের কথা। এ ছাড়াও আছে বেসিল, পুদিনা, রোজমেরি ও গাঁদার মতো গাছ প্রাকৃতিক সুগন্ধি ছড়ায় যা মশার কাছে অন্তত প্রীতিকর নয়। এমন গাছ ঘরে বা বারান্দার টবে লাগালে মন্দ হয় না।
মোমবাতিও আছে
সিট্রোনেলা মোমবাতি আজকাল বাজারে পাওয়া যায়। এর শক্তিশালী ঘ্রাণ মশাকে আকৃষ্ট করা কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও ল্যাকটিক অ্যাসিডকে ঢেকে দেয়। বাড়ির আঙিনায় কৌশলে মোমবাতি রেখে বা ডিফিউজারে সিট্রোনেলা তেল ব্যবহার করে কার্যকরভাবে মশা তাড়ানো যেতে পারে।