এ দেশের ঘরে ঘরে, যুগ যুগ ঘরে দেশি ঘিয়ের ব্যবহার চলে আসছে। খাঁটি, পুষ্টিগুণ সম্পন্ন দেশি ঘি মিষ্টি এবং প্রসাদ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়। শুদ্ধ দেশি ঘি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। অলিভ ওয়েলও স্বাস্থ্যের নানা উপকারে লাগে। তবে পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে কোনটা বেশি উপকারী?
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, বিশেষত অলিভ ওয়েলে মোনোঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ফ্যাটের মেটাবলিজম বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। হরমোনের প্রক্রিয়াও নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার ফলে এটি পেটের চর্বিও কমিয়ে ফেলতে সহায়ক হয়। দেশি ঘিতে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে পরোক্ষে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া আটকে যায়।
ঘিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। এতে ভিটামিন এ, ই এবং কে পাওয়া যায়। সে কারণে বেশি আঁচে রান্না করা খাবার ঘি যুক্ত খাবার খাওয়া অস্বাস্থ্যকর নয়। অন্যদিকে, অলিভ ওয়েলে মনোঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন ই থাকে। যা ফ্যাট মেটাবলিজম এবং হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
দেশি ঘি এবং অলিভ ওয়েল, দু'টির এক চামচে সমান ক্যালরি থাকে। অথচ শরীরে এগুলোর প্রভাব আলাদা আলাদা পড়ে। অলিভ ওয়েল ফ্যাটের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়। আবার ঘি হজমে সাহায্য করে। দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। বারবার খিদে পায় না। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বেশি আঁচে রান্না করার জন্য ঘি ব্যবহৃত হয় হেঁশেলে। অলিভ ওয়েলে বানানো হয় স্যালাড, সবজি রান্না এবং ডাল তৈরির জন্য। কম আঁচেও নানা পদ অলিভ ওয়েলে করা যায়। তবে কোনওটাই বেশি মাত্রায় খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরে বাড়তি ক্যালরি তৈরি হয়।
দেশি ঘি এবং অলিভ ওয়েল দু'টিই পেটে চর্বি কম করতে ব্যবহৃত হয়। অলিভ ওয়েলে মনোঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের মেটাবলিজম রেট বাড়ায়। ফলে মেদ জমা হয় না। হজম ক্ষমতা বাড়ে। এতে প্রচুর ভিটামিনও থাকে। ফলে দেশি ঘি এবং অলিভ ওয়েল দু'টিকেই পরিমিত মাত্রায় খাওয়া উচিত।