Advertisement

Diabetes: সাদা না বাদামি, ডায়বেটিস রোগীদের কোন চাল খাওয়া উচিত?

ডায়াবেটিস ক্রমশ আমাদের সমাজে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ভারতে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর একটি প্রধান কারণ হল খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আমরা যে ভাত ব্যবহার করি তার প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

সাদা ভাত বনাম বাদামী চালের ডায়াবেটিসসাদা ভাত বনাম বাদামী চালের ডায়াবেটিস
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 14 Nov 2025,
  • अपडेटेड 3:02 PM IST

ডায়াবেটিস ক্রমশ আমাদের সমাজে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ভারতে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর একটি প্রধান কারণ হল খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আমরা যে ভাত ব্যবহার করি তার প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতীয় বাড়িতে সাদা ভাত সাধারণত খাওয়া এবং রান্না করা হয়, এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি সাধারণত নিষিদ্ধ। কেন এটি এমন হয় এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোন ভাত বাদ দেওয়া উচিত তা নিয়ে প্রায়শই মানুষের ভুল ধারণা থাকে। আজ, আমরা এই বিভ্রান্তির সমাধান করব।

সাদা ভাত এড়িয়ে চলুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাদা ভাত, বা পালিশ করা চালে ফাইবার এবং পুষ্টির পরিমাণ কম থাকে। এটি তৈরির সময়, বাইরের খোসা (তুষ) সরিয়ে ফেলা হয়, কেবল স্টার্চ অবশিষ্ট থাকে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খারাপ কেন?
প্রথমত, এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) খুবই বেশি।
দ্বিতীয়ত, এটি দ্রুত হজম হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করে।
তৃতীয়ত, দীর্ঘ সময় ধরে সাদা ভাত খেলে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

বাদামী চাল কেন ভালো?
বাদামী চাল, অথবা পালিশ না করা চাল, এর তুষ এবং জীবাণুর স্তর ধরে রাখে, যার মধ্যে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। অতএব, এটি খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক নয়, যা তাদের জন্য এটা ভাল। 

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি কেন ভালো?
প্রথমত, এর জিআই সাদা ভাতের চেয়ে কম।
দ্বিতীয়ত, এটি ধীরে ধীরে হজম হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে।
তৃতীয়ত, এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চিনি নিয়ন্ত্রণে সান্বয্য করে।

কতটা এবং কীভাবে খাবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীরা চাইলে তাদের খাদ্য তালিকায় বাদামী চাল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, তবে তাদের এটি অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।

একবারে আধা কাপ রান্না করা বাদামী চালই যথেষ্ট
এর পাশাপাশি, অবশ্যই ফাইবার সমৃদ্ধ শাকসবজি, ডাল বা সালাদখান যাতে চিনি ধীরে ধীরে বেরিয়ে যায়।
কখনও কখনও আপনি ভাতের পরিবর্তে আপনার খাদ্যতালিকায় বাজরা (যেমন বাজরা, বার্লি, বা কোদে) অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

Advertisement

এই ভুলগুলো করবেন না
শুধুমাত্র বাদামী চালের উপর নির্ভর করবেন না, বরং আপনার খাদ্যতালিকায় বৈচিত্র্য আনুন। অতিরিক্ত তেল বা ঘি দিয়ে ভাত ভাজা বা রান্না করা এড়িয়ে চলুন। রাতে বেশি পরিমাণে ভাত খেলে চিনির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, তাই রাতে ভাত এড়িয়ে চলুন অথবা অল্প পরিমাণে খান।

Read more!
Advertisement
Advertisement