ডায়াবেটিস বয়ে আনে নানা অসুখ। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে তাই অবহেলা করা উচিত নয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস টাইপ ২-তে বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছে যায় গ্লুকোজ। তাই শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। গবেষণা বলছে, ডায়াবেটিস জলদি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওষুধের চেয়ে কার্যকারী একটি প্রাকৃতিক উপায়। ১৫ মিনিটে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফলের রস।
দুর্বলতা থাকলে অবধারিতভাবে বেদানা দেওয়া হয় রোগীকে। দুর্বলতা কাটিয়ে সবল করে তোলায় জুড়ি নেই এই ফলের। আবার বড়রা বলেন, বেদানা খেলে গায়ে রক্ত হয়। আসলে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে বলেই এমনটা বলেন। এছাড়াও বিবিধ ভিটামিন, মিনারেলে ভরপুর বেদানা। অতিসম্প্রতি একটি গবেষণাতেও বেদানার গুণগান। ২৩৬ মিলি বেদানার রস খেয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই গবেষণায়।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেদানার রসে থাকা পুষ্টিগুণ গ্লুকোজের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। এছাড়া বেদানায় থাকে অধিক মাত্রায় অ্যান্থোসায়নিন। যা বেদানার রংকে লাল করে।
বেদানায় থাকে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফাইবার। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তো বাড়ায় ত্বকের জন্যও কার্যকর। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও থাকে বেদানায়। এ ছাড়া ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ুতন্ত্র ভাল রাখে। ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য়াও দূর করে বেদানা। ওজন কমাতেও জুড়ি নেই। প্রচুর আয়রন থাকায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। রক্তাল্পতায় ভোগা রোগীদের ডায়েটে এজন্য বেদানা মাস্ট।
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রধান লক্ষণ
- স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব
- সব সময় তৃষ্ণার্ত অনুভব করা
- ক্লান্তিভাব
- হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
- গোপনাঙ্গের চারপাশে চুলকানি
- ক্ষত নিরাময়ে সময় লাগা
- চোখের স্পষ্ট দেখায় সমস্যা