রান্নাঘরের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির মধ্যে রসুন অন্যতম। রান্নার কাজে তো বটেই রসুন শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। অনেকেই প্রতিদিন খাওয়ার সঙ্গে এক কোয়া বা দু কোয়া রসুন খান। প্রতিদিন এই রসুন খাওয়া ভাল না খারাপ সেটা অনেকেরই জানা নেই। তাই কাঁচা রসুন খাওয়ার আগে জেনে নিন তা আদৌও ভাল না খারাপ অভ্যাস।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রসুনে অ্যালিসিন (Allicin)-এর মতো উপাদান থাকে, যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণসম্পন্ন। নিয়মিত খেলে সর্দি-কাশি, ফ্লু এবং ছোটখাটো সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে সুরক্ষা দেয়।
রক্তচাপ কমায়
উচ্চ রক্তচাপ এমন একটি রোগ, যেটি নিয়ন্ত্রণ না করলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। রসুন উচ্চ রক্তচাপ খুব দারুণভাবে কমাতে পারে। কাঁচা রসুনের প্রধান রাসায়নিক উপাদান অ্যালিসিন, যা রক্তনালিগুলো শিথিল করতে ও রক্তপ্রবাহ উন্নত করতে সহায়তা করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
কাঁচা রসুন কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমাতে পারে। এটি টোটাল কোলেস্টেরল ও এলডিএল কোলেস্টেরল (যাকে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বলা হয়) কমাতে সাহায্য করে এবং সম্ভাব্যভাবে এইচডিএল কোলেস্টেরল (যাকে ‘ভালো’ কোলেস্টেরল বলা হয়) বাড়িয় দেয়।
প্রদাহ কমায়
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এমনকি কিছু ধরনের ক্যানসারের সঙ্গেও সম্পর্কিত। রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার যৌগ শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এতে ব্যথা ও ফোলাভাব নিয়ন্ত্রণে আসে।
শরীরের বর্জ্য অপসারণ করে
রসুনের সালফার যৌগ শরীরকে টক্সিন (বিষাক্ত বর্জ্য) এবং ভারী ধাতু দূর করতে সাহায্য করে। রক্তে থাকা সিসার মাত্রাও কমাতে পারে রসুন। এর ডিটক্সিফাইংয়ের প্রভাবে গ্লুটাথিয়নের উৎপাদন বাড়ে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা যকৃৎকে বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণে সাহায্য করে।
যেটা মনে রাখবেন
মনে রাখবেন, প্রতিদিন রসুন খাওয়া উপকারী হলেও অতিরিক্ত খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই পরিমিত মাত্রায়, অর্থাৎ দৈনিক ১–২ কোয়ার বেশি না খাওয়াই ভাল। পেট গরম হলে বা শরীর গরম হয়ে গেলে কটা দিন রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভাল।