
সোশ্যাল মিডিয়ায় কোরিয়ান কাঁচের ত্বকের ট্রেন্ড ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। স্বচ্ছ, উজ্জ্বল এবং ছিদ্রহীন ত্বকের স্বপ্ন বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারতের ত্বক কোরিয়ান ত্বকের মতো দেখতে পারে কি না, সেই প্রশ্নে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দেন।
ডঃ পাসি ব্যাখ্যা করেন, কোরিয়ান এবং ভারতীয় ত্বকের জিনগত গঠন আলাদা। কোরিয়ান ত্বক পাতলা, হালকা এবং কম মেলানিনযুক্ত হওয়ায় স্বচ্ছ দেখায়। অন্যদিকে, ভারতীয় ত্বকে বেশি মেলানিন থাকায় ছিদ্র দৃশ্যমান এবং ত্বক তুলনামূলক ঘন। অতিরিক্ত হাইড্রেশন বা ভারী পণ্য ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ত্বকে ছিদ্র বন্ধ হয়ে ব্রণ এবং জ্বালা দেখা দিতে পারে। তাই ভারতীয় ত্বকের লক্ষ্য হওয়া উচিত স্বাস্থ্যকর, প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
ভারতের গরম ও আর্দ্র জলবায়ু ত্বকের উপরে প্রভাব ফেলে। মেলানিন সূর্য থেকে প্রাকৃতিক সুরক্ষা দেয়, কিন্তু পিগমেন্টেশন বাড়ায়। আর্দ্রতা এবং তাপ তেলের উৎপাদন ও ঘামের মাধ্যমে ছিদ্র বন্ধ করতে পারে, যার ফলে ত্বকের চেহারা প্রভাবিত হয়। তাই ভারতের ত্বককে সবসময় ট্যানিং, পিগমেন্টেশন ও ব্রণের সঙ্গে লড়াই করতে হয়।
কাঁচের ত্বক পেতে অনেকেই রাসায়নিক খোসা, এক্সফোলিয়েটর ও রেটিনয়েড ব্যবহার করেন। ডঃ পাসি সতর্ক করে বলেন, অতিরিক্ত বা ঘন ঘন ব্যবহার ত্বকের বাধা দুর্বল করতে পারে, ফলে ত্বক শুষ্ক, সংবেদনশীল বা কালো হয়ে যেতে পারে। তাই ধীরে ধীরে, পরিমিত পরিমাণে এবং ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিনের সঙ্গে ব্যবহারই উত্তম।
ডঃ পাসি বলেন, প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার, হাইড্রেটেড থাকা এবং ত্বকের বাধা মেরামত করা ভারতীয় ত্বককে স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে। কোরিয়ান কাঁচের ত্বক অনুরূপ চেহারা অর্জন সম্ভব না হলেও, স্বাস্থ্যকর, পরিষ্কার ও প্রাকৃতিক উজ্জ্বল ত্বক প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য অর্জনযোগ্য।
প্রতিদিন নরম ক্লিনজার এবং হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ত্বকের যত্নের মূল হিসেবে সানস্ক্রিন ব্যবহার অপরিহার্য।
সপ্তাহে ১–২ বার বেশি এক্সফোলিয়েট করবেন না।
পর্যাপ্ত ঘুম এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।