আগামিকাল মহাষ্টমী। এ দিন সকাল থেকে উপোস করে অঞ্জলি দেওয়ার রীতি। আর এই প্রথা অনেক ডায়বেটিস রোগীরাও মেনে চলেন।
যদিও মুশকিল হল, ডায়বেটিস নিয়ে উপোস করলে হুট করে সুগার ফল করার আশঙ্কা থাকে। তাই মধুমেহ রোগীদের উপোস করার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ আশিস মিত্র। তাই ঝটপট তাঁর মতামত জেনে নিন।
রাতে দেরি করে খান
কাল অষ্টমী। তাই আজকের রাতে একটু দেরি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। তারপর নিজের ওষুধ খান। এই কাজটা করলে পেটে খাবার মজুত থাকবে। যার ফলে সকালে খিদে পাবে কম। সেই সঙ্গে সুগার ফল করার আশঙ্কাও কমবে বলে মনে করছেন ডাঃ মিত্র।
ইনসুলিনের ডোজ ঠিক করুন
অনেক রোগী রাতে ইনসুলিন নেন। তার মাধ্যমেই তাঁদের সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে সকালে উপোস করার ইচ্ছে থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে একবার কথা বলুন। তারপর কমিয়ে নিন ইনসুলিনের ডোজ। তাতেই সুগার ফল বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার আশঙ্কা কমবে, এমনটাই জানালেন ডাঃ মিত্র।
তবে ইনসুলিনের ডোজ কমাতে না চাইলে রাতে একটু দুধ খেয়ে নিতে হবে। এই পানীয়টি খেলে সুগার লেভেল মোটের উপর ঠিক থাকবে বলে মনে করেন চিকিৎসক।
জল খাওয়া মাস্ট
আজ রাত থেকেই জল খাওয়া বাড়ান। আর সকালেও কিছু খান না খান জল পান করুন। তাতে দেহে জলের ঘাটতি হবে না। আপনারা ডিহাইড্রেশনের থেকে বাঁচতে পারবেন বলে জানালেন ডাঃ মিত্র।
আজ মদ নয়
পুজোর সময় অনেক ডায়বেটিস রোগী রাতে মদ খান। আর তাতেই শরীরের ক্ষতি হয়। বিশেষত, উপোসের আগের রাতে এই পানীয় খাওয়া চলবে না। নইলে সুগার ফল করে যেতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ।
শরীর খারাপ লাগলে উপোস ভাঙতে হবে
সকালে উঠে যদি শরীরে অস্বস্তি লাগে, মাথা ঘোরায়, তাহলে আর উপোস করা চলবে না। বরং দ্রুত একটু গ্লুকোজ খেয়ে নিতে হবে। তাতে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার বড়সড় ক্ষতি এড়িয়ে যেতে পারবেন। তাই অবশ্যই এই নিয়মটা মেনে চলুন।
এছাড়া উপোস করে উঠে লুচি, পরোটা নয়। তার বদলে খেতে হবে ডালিয়া, ওটস। তাতে সুগার লেভেল বাড়বে না।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।