পুজো মানেই ঘোরাঘুরি। পুজো মানেই বাধ না মেনে খাওয়াদাওয়া। সারা বছরের ডায়েট ভুলে একটু অন্যরকম স্বাদগ্রহণ।
তবে মুশকিল হল, এই সময় অতিরিক্ত বাইরের খাবার খাওয়ার ফলে পেটের হাল বিগড়ে যেতে পারে। পিছু নিতে পারে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সাধারণ সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়ারিয়া, বমি। আর এটাই পুজোর আনন্দকে মাটি করার ক্ষমতা রাখে।
তাই এই সব সমস্যার সহজ সমাধান আমাদের জানালেন কলকাতার নামী চিকিৎসক ডাঃ আশিস মিত্র। তাই ঝটপট তাঁর পরামর্শ জেনে নিন।
অ্যান্টাসিডে রাখুন ভরসা
সাধারণ গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যায় প্যান্টোপ্রাজল ৪০ ওষুধটি দিনে একবার খাওয়ার পরামর্শ দিলেন ডাঃ মিত্র। তাতেই উপকার মিলবে বলে জানালেন তিনি।
তবে সমস্যা একটু বেশি হলে দিনে ২ বার পর্যন্ত এই ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। আর হ্যাঁ, ওষুধটি খাওয়ার আগেই গিলে নিতে হবে বলে জানান তিনি।
ডায়েরিয়া হলে কী করবেন?
ডাঃ মিত্র বলেন, 'এই সমস্যার সেরা দাওয়াই হল ওআরএস। ১ লিটার জলে ১টি গোটা ওআরএস মিশিয়ে পান করুন ধীরে ধীরে। তাতেই সমস্যা কমবে।'
তবে এরপরও সমস্যা না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো রিফাক্সিসিন ২০০ ওষুধটি দিনে ৩ বার করে ৫ দিন খেতে হবে। তাতে ডায়ারিয়া সেরে যাবে।
যদিও মল যদি কালো রঙের হয়, মলের সঙ্গে যদি রক্ত বেরয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে বলে মনে করেন ডাক্তারবাবু।
বমি ও বমি বমি ভাব কাটাবেন কীভাবে?
এই সমস্যা সমাধানের সেরা ওষুধ হল ডমপেরিডন। এই ওষুধটি প্রতিদিন নিয়ম করে খেলেই অনায়াসে বমির সমস্যা কমানো যাবে।
তবে অনবরত বমি হতে থাকলে, বমির সঙ্গে রক্ত বেরলে, শরীর খুব ক্লান্ত লাগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বললেন ডাঃ মিত্র।
সমস্যা প্রতিরোধে করবেন কী?
১. পেটের সমস্যায় যাঁরা নিয়মিত ভোগেন, তাঁরা তেল, মশলাদার খাবার খাওয়ার সঙ্গে প্যাংক্রিয়াটিক এনজাইম জাতীয় ওষুধটি খান। তাতেই সমস্যার আশঙ্কা কমবে।
২. বাইরের খাবার একটু কম খান।
৩. বাড়িতেই পছন্দের পদ বানিয়ে খেতে পারেন।
আর অবশ্যই সমস্যা বাড়াবাড়ি দিকে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলে জানালেন ডাঃ মিত্র।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।