শুকনো ফলের রাজা কাজু পুষ্টিগুণে ভরপুর। অনেক স্বাস্থ্য-সচেতন মানুষ নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং ব্যায়াম বা মর্নিং ওয়াকের পর কাজু, আমন্ড এবং অন্যান্য শুকনো ফল খান। যারা পান করতে পছন্দ করেন তারা তাদের পানীয়ের সঙ্গে শুকনো বা ভাজা কাজু খান।
কাজুবাদাম যে পুষ্টিগুণে ভরপুর তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এটি চিনি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, চুল, হাড় এবং বলিরেখা থেকে মুক্তি দেয়। কিন্তু যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় তবে এটি স্থূলতা, অ্যালার্জি এবং মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
ক্যালসিয়াম এবং ফাইবারের পাশাপাশি কাজুবাদাম আয়রন এবং কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ। বেশি পরিমাণ কাজুবাদাম খেলে শরীরে আয়রন জমতে শুরু করে। এটি ফুসফুসে জমে থাকলে হাঁপানি হতে পারে। কোলেস্টেরল হৃৎপিণ্ডের শত্রু, এটি হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
খালি পেটে কাজু বাদাম খাওয়ার অপকারিতা
যে কোনও কিছু অতিরিক্ত স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এই নিয়ম কাজুবাদামের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বেশি পরিমাণে কাজুবাদাম খেলেও ক্ষতি হতে পারে আপনার। এই অসুবিধাগুলো নিম্নরূপ-
১. প্রচুর পরিমাণে কাজুবাদাম খেলে শরীরে এতে উপস্থিত সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২. কাজুতে উপস্থিত ফাইবারের পরিমাণ শরীরে বেড়ে গেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস তৈরি হওয়া ইত্যাদির মতো পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যা হতে পারে।
৩. কাজুতে উপস্থিত পটাশিয়ামের পরিমাণ শরীরে বেড়ে গেলে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। তাই কাজুবাদাম শুধুমাত্র উপযুক্ত পরিমাণে খান।
দিনে কতগুলি কাজু খাওয়া ঠিক?
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ওজন কম বা যে কোন ধরনের খেলাধুলা করেন তারা দিনে ৫০-১০০ গ্রাম কাজু খেতে পারেন। যদি এমন কিছু না থাকে তবে দিনে ৫-৬টি কাজু খাওয়া উপকারী।