'একদিন ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে...' নচিকেতার এই জনপ্রিয় গান যেন এখন সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক। পৃথিবীর অসুখ সেরে যাক এটাই সকলের প্রার্থনা। আজ (২২ এপ্রিল) 'বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস' (Earth Day)। জলবায়ু সংকট এবং পরিবেশের অবক্ষয়ের জরুরি অবস্থা এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ২২ এপ্রিল এই বিশেষ দিন পালিত হয়।
২০২১ সাল এই বার্ষিক অনুষ্ঠানের ৫১ তম বর্ষ। এবারের বসুন্ধরা দিবসের থিম 'আমাদের পৃথিবীকে পুনরুদ্ধার করো' (Restore Our Earth)। এই থিমটি প্রাকৃতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া, উদীয়মান সবুজ প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী ধারণাগুলিকে জোড় দেয় যা বিশ্বের বাস্তুতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে পারে। আমাদের পৃথিবীকে পুনরুদ্ধার করা আমাদেরই কর্তব্য। এছাড়াও, বসুন্ধরা স্বাস্থ্যকর করা সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য বাধ্যতামূলক।
বসুন্ধরা দিবস ২০২১: ভার্চুয়াল শুভেচ্ছাবার্তা
* চলুন ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আরও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলি! শুভ বসুন্ধরা দিবস ২০২১।
* এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় পরিবেশের মান উন্নত করা, যা সকলের কর্তব্য। বসুন্ধরা দিবসের শুভেচ্ছা!
* প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন মেটাতে বসুন্ধরা পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করে, তবে মানুষের লোভ মেটানোর জন্য নয়! শুভ বসুন্ধরা দিবস।
* আসুন সকলে একসাথে আমাদের পৃথিবীকে বাঁচাই। রোজ হোক বসুন্ধরা দিবস!
* পৃথিবী আরও সবুজ ও জীবিত হয়ে উঠুক! বসুন্ধরা দিবসের উষ্ণ শুভেচ্ছা সকলকে।
* এই পৃথিবীর সকল জরা- ব্যাধি কেটে যাক, এই কামনা করি। হ্যাপি আর্থ ডে ২০২১!
* আমাদের প্রিয় গ্রহকে বাঁচাতে হলে, আর সময় নষ্ট নয়! আজ থেকেই শুরু হোক রক্ষার কাজ। বসুন্ধরা দিবস ২০২১-র শুভেচ্ছা!
* পৃথিবী আমাদের যেভাবে রক্ষা করে, আসুন আমরাও তার যত্ন করি। শুভ বসুন্ধরা দিবস!
বসুন্ধরা দিবস কী?
১৯৭০ সালে এই দিনে মার্কিন সেনেটর গেলর্ড নেলসন বসুন্ধরা দিবসের প্রচলন করেন। পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারিভাবে এই দিবস পালিত হয়। উত্তর গোলার্ধের দেশগুলিতে বসন্তকালে আর দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলিতে শরতে বসুন্ধরা দিবস পালিত হয়। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ধরিত্রী দিবসে যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং অন্যান্য ১২০ সংখ্যক দেশ দ্বারা এক দিকনির্দেশ প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
এ ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৯৬৯ সালের ২৮ জানুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারায় হঠাৎ তেল উপচে পড়া থেকে। তিরিশ লক্ষ গ্যালনের বেশি তেল উপচে পড়েছিল সেদিন। যার ফলে ১০,০০০-র বেশি সামুদ্রিক পাখি, ডলফিন, সমুদ্রের ছোটো-বড় মাছ ধ্বংস হয়ে যায়। এই প্রাকৃতি বিপর্যয়ের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ পরিবেশবীদ সহ সক্রিয় কর্মীরা পরিবেশের নিয়মকানুন, পরিবেশগত শিক্ষার স্বার্থে বসুন্ধরা দিবসের ধারণা সামনে আনেন।
এমনিতেই করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ২০২০ সাল থেকে ভীত সকলে। অনেকেই হারিয়েছেন প্রিয়জনদের। পৃথিবীকে দেখভাল করার দায়িত্ব নিতে হবে সকলকে। তাই আরও যত্নশীল হয়ে যে যার নিজেদের দায়িত্ব পালন করলেই ধীরে ধীরে সেরে উঠবে পৃথিবী।