দই খেতে কে না ভালবাসে!খাওয়াদাওয়ার শেষে অনেকের এক বাটি দই না হলে চলে না। মাংস রাঁধতেও লাগে দই। এছাড়া অন্যান্য নানা পদেও দই কাজে লাগে। দইয়েরও বিবিধ উপকারিতা রয়েছে। দই পেট ঠান্ডা রাখে। হজম সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। যা হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে। অনেকেই ঘরে দই পাতেন। কিন্তু জানেন কি দই পাততে গেলে স্টিলের চেয়ে মাটির হাঁড়িতে বেশি উপকারী।
আগে ফ্রিজ ছিল না। মাটির হাঁড়িতে দই পাতা হত। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে স্টিলের বাসন মাটির হাঁড়ির জায়গা নিয়েছে। তবে স্টিলের চেয়েও বেশি কার্যকর মাটির হাঁড়ি। দইয়ের কী কী উপকারিতা- টক দইয়ে রয়েছে প্রো-বায়োটিক উপাদান। এগুলি উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। শরীরের ক্ষতিকার ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি দই। ভিটামিন এ, বি ৬, বি ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস-সহ বিবিধ পুষ্টি উপাদান রয়েছে টক দইয়ে। টক দই শরীরে টক্সিন বা ক্ষতিকর উপাদান জমতে দেয় না। এছাড়া টক দই শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। উন্নত করে হজম শক্তিও। পাশাপাশি কমায় ওজনও।
মাটির হাঁড়িতে দই জমানোর উপকারিতা
১। দই দ্রুত জমে- গরমকালে দই সহজে এবং দ্রুত পাতানো যায়। তবে শীতে তাড়াতাড়ি দই পাতানো যায় না। দেরি হয়। কারণ দই জমার জন্য বিশেষ তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। মাটির পাত্রে দই পাতলে তাড়াতাড়ি জমবে। এমনকি শীতেও তাড়াতাড়ি জমে দই।
২। দই ঘন হয়- মাটির হাঁড়িতে দই রাখার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি দইকে ঘন করে। কারণ জল শোষণ করে মাটির তৈরি হাঁড়ি। যার ফলে দই ঘন হতে শুরু করে। স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে দই রাখলে তা হয় না।
৩। প্রাকৃতিক খনিজ-স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের পরিবর্তে মাটির হাঁড়িতে দই রাখলে শরীরে প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম।
৪। মাটির গন্ধ- মাটির হাঁড়িতে দই রাখলে ভাল গন্ধ হয়। সেই সঙ্গে বাড়ে স্বাদও।
আরও পড়ুন- ওষুধ লাগবে না, এই ৬ খাবারে পরিষ্কার করুন রক্ত, রোগবালাই থাকবে দূরে