
অনেক সময়েই রাতে করা রুটি ডিনারের পরও বাড়তি হয় যায়। ফ্রিজে সেই রুটি রেখে দেন অনেকেই। কিন্তু বাসি রুটি খাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যেই অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। কেউ কেউ পরদিন ব্রেকফাস্টে সেই বাসি রুটি খেয়ে ফেলেন। অনেকে আবার শরীরের ক্ষতি হবে ভেবে কুকুরকে সেই রুটি খাইয়ে দেন বা ডাস্টবিনে ফেলে দেন। সত্যিই কি বাসি রুটি খাওয়া ক্ষতিকর?
বাসি রুটি আদৌ খাওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে ডায়েটিশিয়ান ডা: শিল্প অরোরা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ টিপস দিয়েছেন। তাঁর ইনস্টায় বাসি রুটি নিয়ে বিশেষ কিছু জরুরি তথ্য রয়েছে।
ডা: শিল্প অরোরার বক্তব্য, 'বাসি রুটি শরীরের জন্য উপকারী। কারণ এটি ডায়বেটিস রোগী থেকে শুপরু করে গাট হেলথ নিয়ে ভোগা যে কোনও ব্যক্তির শরীরের উপকারই করে। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারাও উপকার পেতে পারেন।' এই ডাক্তার জানিয়েছেন, বাসি রুটিতে রেজিস্টার্ড স্টার্চ হয়। যা হজমের জন্য উপকারী। এটি ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধির প্রক্রিয়া অনেকটাই স্লথ রাখে।
বাসি রুটিতে থাকা রেজিস্টার্ড স্টার্চ প্রবায়োটিকের মতো কাজ করে বলে দাবি ডা: শিল্প অরোরার। এতে ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ে। সে জন্য গাট হেলথের রোগীদের ক্ষেত্রে বাসি রুটির গুণমান জরুরি।
ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করছেন যারা, তাদের জন্য বাসি রুটি সবচেয়ে ভাল। বাসি রুটি খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। এতে বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতাও কমে। ডা: শিল্প অরোরা বলেন, 'বাসি রুটির সঙ্গে দই এবং হলুদের আচার খাওয়া আরও ভাল। এটি কোনও সুপারফুডের থেকে কম নয়।'
তবে ২ দিনের বেশি বাসি রুটি শিশুদের, অন্তঃসত্বা কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। দুর্গন্ধ বেরিয়ে গেলে সেই রুটি অবশ্যই খাওয়া উচিত নয়। সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে ব্যকটেরিয়া সংক্রমিত হয়ে গিয়েছে রুটিতে।