আম খেলে নাকি শরীরে ফ্যাট বেড়ে যায়। তরুণ প্রজন্মের একাংশের মধ্যে এমনই ধারণা রয়েছে। এ ব্যাপারে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জেনে নেওয়া যাক তাঁদের মতামত।
ঘটনা হল, করোনা সংক্রমণ আটকানো জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিধিনিষেধ রয়েছে। কোথাও কার্ফু, তো কোথাও লকডাউন বা আংশিক লকডাউন। আর এ কারণে আমের বিক্রিবাটার ওপর প্রভাব পড়েছে।
মার খেয়েছেন আমবাগান মালিক, চাষীরা। সেই ধাক্কা কিছুটা সামলানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। আম বাজারে চলে এসেছে। তরুণ প্রজন্মের একাংশ মনে করে আম খেলে মোটা হয়ে যেতে পারেন।
এ ব্যাপারে বিশিষ্টদের বিশেষজ্ঞদের কী মত, জেনে নেওয়া যাক। বিশিষ্ট আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অভয় নারায়ণ জানান, আম মিষ্টি ফল। এটি শক্তিবর্ধক এবং পুষ্টিদায়ক। এর মধ্যে রয়েছে কপার বা তামা।
আম খেলে মোটা হয়ে যায়, এই ধারণা ভুল। তবে বুঝেশুনে আম খাওয়া উচিত। বেশি খেলে তা ক্ষতিকারক হতে পারে। পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বিশিষ্ট যোগ শিক্ষক প্রতিষ্ঠা মাহেশ্বরী জানিয়েছে, আম তরল প্রকৃতির ফল। আর এটি আমাদের পেশি এবং শরীরে এতটাও প্রভাব ফেলে না।
বিশিষ্ট চিকিৎসক অশোককুমার মিশ্র জানান, আম খেলে তোমন কোনও সমস্য়া নেই। তবে কোনও কিছুই বেশি ভাল না। কোনও কিছু বেশি হয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে।
লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল কলেজের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ফরহিন আলির মতে, আমকে বলা হয় ফলের রাজা। গরমে সবাই আম খেতে পছন্দ করেন। তবে একটা ধারণা রয়েছে, আম খেলে মানুষ মোটা হয়ে যেতে পারে। তবে আপনি কম পরিমাণে আম খেলে, তা কিন্তু হবে না।
তিনি জানান, ১০০ গ্রাম আম থেকে পাওয়া যায় ৬০ ক্যালোরি। কেউ যদি একবারে একটি আম বা আলাদা আলাদা সময় প্রতিদিন ১-২ আম খেয়ে নেন, তবে দৈনিক ক্যালোরি কমানোর দিকে নজর রাখতে হবে।
তিনি আরও জানান, আমে থাকে ভিটামিন সি। করোনা অতিমারীকে আমরা আম থেকে পারি। এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।