বাঙালি বাড়িতে ডিম থাকেই। অতিথিকে আপ্যায়ন থেকে চটজলদি রান্নার জন্য ডিমের পদ বানিয়ে নেওয়া যায়। তা সে সেদ্ধ, ভাজা বা ডিমের ঝোল হোক! ডিম যেমন চটজলদি রান্না করা যায় তেমন খেতেও সুস্বাদু। ডিমের তরকারি দিয়েই এক থালা ভাত খেয়ে নেওয়া যায়। পুষ্টিগুণও রয়েছে। ডিম প্রোটিনসমৃদ্ধ। কিন্তু ডিম খেতে গিয়ে কোনও ভুল করছেন না তো?
কাঁচা ডিমের চেয়ে রান্না করা ডিমে থাকে অতিরিক্ত প্রোটিন। কাঁচা ডিমের বদলে তাই রান্না করা ডিম খাওয়া উচিত। এতে থাকে ৯১ শতাংশ প্রোটিন। কেবল ৫০ শতাংশ প্রোটিন থাকে কাঁচা ডিমে। তার উপর কাঁচা ডিম সহজে হজম করা যায় না। রান্না করা ডিম হজমও হয়। কাঁচা ডিম খাবেন না। রান্না করা ডিমে থাকে এনজাইম ট্রিপসিন। যা প্রোটিনকে ভাঙতে এবং হজমে সাহায্য করে।
ব্যস্ত কর্মজীবন। সকালের খাবারে চটপট অনেকে ডিম সেদ্ধ বা ভেজে খেয়ে নেন। অফিস থেকে এখন অনেকে রান্না করেন না। সকালেই করে নেন ডিমের তরকারি। সেই খাবারই ফ্রিজে রেখে দেন। আর এটাই ভুল করছেন! অন্যান্য খাবারের মতো ডিমকেও ভেবে ফেলছেন তাঁরা। আর অজান্তেই ভুল করে ফেলছেন। একবার রান্না করা ডিম যদি আবার গরম করেন সেক্ষেত্রে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
দ্বিতীয়বার ওই গরম ডিমে প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে থাকে। যা শরীরের জন্য বিপজ্জনক। তাই ভুলেও ডিমের ঝোল বা পোচ দিয়ে তরকারি করলে আবার ফুটিয়ে খাবেন না। একবেলাতেই ডিম ফেয়ে ফেলুন। এতেই উপকার পাবেন। শরীরে ঢুকবে প্রোটিন। গরম করে খেলে উপকার তো নেই বরং শরীরের ক্ষতি।
আরও পড়ুন- মাইগ্রেনে আর নয় ওষুধ, আয়ুর্বেদে রান্নাঘরের ৩ জিনিসেই দ্রুত উপশম