Sandakphu Phalut Cool Tour In Summer: শীত বিদায় নিয়ে গরম পড়তে শুরু করেছে। খাতায় কলমে বসন্তকাল হলেও রীতিমতো আগুন ঝরাচ্ছে আবহাওয়া। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গ এখনই তেতে উঠছে মার্চের মাঝামাঝিতেই। ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিতে পরীক্ষা শেষ।তাহলে এইবেলা ঘরে বসে ঘামবেন কেন? কয়েকদিনের জন্য বেরিয়ে হিমশীতল হয়ে আসার সুযোগ রয়েছে হাতের কাছেই। তাও আবার এ রাজ্যেই। যা আপনার মন-প্রাণ কয়েকদিনের জন্য জুড়িয়ে দিতে পারে।
দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) আমরা সবাই কখনও না কখনও গিয়েছি। তবে অনেকেই দার্জিলিং পাহাড়ের আসল সৌন্দর্যের খনি সান্দাকফু-ফালুট (Sandakphu-Phalut) যাননি। তুলনামূলক একটু কঠিন পথ। তবে এখন মোটররাস্তা হয়ে যাওয়ায় সান্দাকফু সহজেই যাওয়া যায়। চারিদিক যেন ঠান্ডা হাওয়ার সমুদ্রে। মে-জুন-জুলাই (March To July) কুছ পরোয়া নেই। সারা বছরই শিরদাঁড়ায় কাঁপুনি দেওয়া হাওয়া। এই তো সপ্তাহখানেক আগেও তুষারপাত (Summer Snowfall) হয়েছে সেখানে। এই মুহূর্তে তুষার না থাকলেও জমে কুলফি (Icy Cool) হয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সৃঙ্গ সান্দাকফু (Sandakphu) ৷ কালাপোখরি থেকে পাহাড় বেড় দিয়ে নেপালের ছোট ছোট গ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে পারেন। যদি নেপাল অংশে প্রবেশ করতে না চান। তবে ভারতের মধ্য দিয়েও যেতে পারেন। তবে এখানে পথ দুর্গম। সেক্ষেত্রে আপনাকে পাহাড়ের চূড়া টপকে যেতে হবে। এ পথে কোনও জনবসতি নেই। সোনালি কাঞ্চনজঙ্ঘার কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস আর মেঘের অবাধ বিচরণভূমি হল এই অঞ্চল ৷ তবে আকাশ পরিষ্কার না থাকলে দেখতে পাবেন না। পুজোর মরশুম থেকে শীত পর্যন্ত অর্থাৎ অক্টোবর বা নভেম্বরে মেঘহীন আকাশে সান্দাকফু থেকে দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা (Kanchenjungha)।
সান্দাকফু থেকে ২১ কিমি দূরত্বে অবস্থিত দার্জিলিং, সিকিম আর নেপাল সীমান্তে অবস্থিত ফালুট৷ যদি ট্রেকিং করতে চান তবে মাথায় রাখা ভাল এর উচ্চতা ১১,৮১১ ফুট৷ মাঝে কোনও থাকার বা খাওয়ার জায়গা নেই ৷ এমনকী মিলবে না জলও ৷ শুকনো খাবার, সেদ্ধ আলু, পর্যাপ্ত জল সঙ্গে নিয়ে বেরোনো ভাল৷ দূরত্ব ও একঘেঁয়ে যাত্রায় রিলিফ দেবে নৈসর্গিক সৌন্দর্য।
জিরো পয়েন্ট থেকে অনেকে বিস্ময়জনিত সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে পড়েন।
ফালুটে ট্রেকার্স হাটে এক রাত্রি কাটাতে ভালই লাগবে। সকালে রওনা দিয়ে ফরেস্ট ট্রেকিং করে অনবদ্য স্বাদ উপভোগ করতে করতে গোর্খেতে পৌঁছে যান দুপুর নাগাদ৷ নদীর ধারে পাহাড়ি ছোট্ট গ্রাম গোর্খে৷ এখানেই রাত্রে থাকতে পারেন।
এখান থেকে ঘণ্টাখানেক চড়াই ভেঙে সামানদিন ৷ রাম্মাম পেরিয়ে ‘শ্রীখোলাতে থাকুন। এখানে হোমস্টে রয়েছে।
শ্রীখোলা থেকে ঘণ্টা তিনেক হাঁটলে রিম্বিক ৷ রিম্বিক থেকে গাড়ি করে শিলিগুড়ি বা দার্জিলিং চলে যেতে পারেন।
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে যে কোনও ট্রেনে-বাসে কিংবা বিমানে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে গাড়িতে মানেভঞ্জন। মানেভঞ্জন থেকে গাড়িতে অথবা হেঁটে যেতে হবে।
কোথায় থাকবেন?
টংলু, সান্দাকফু ও ফালুটে ট্রেকার্স হাট আছে এবং টুমলিং, গৌরিবাস, কালীপোখরি ও সান্দাকফু তে বেশকিছু হোটেল আছে। খরচও খুব বেশি নয়। তবে দিনভর গাড়ি ভাড়া নিয়ে ঘুরলে গড়ে ৫ হাজার টাকা খরচ আছে গাড়ির জন্য।