নিয়মিত শরীরচর্চায় ফিট থাকে দেহ-মন। সব সময় নিজেকে চনমনে লাগে। বিশেষজ্ঞ থেকে ডাক্তাররাও প্রতিদিন অন্তত আধ ঘণ্টা ব্যায়ামের পরামর্শ দেন। অ্যারোবিক দৌড়নো থেকে সাইকিলিং করের উত্তম স্বাস্থ্যের জন্য় উপযোগী। গবেষণা বলছে, অ্যারোবিক চর্চা যাঁরা করেন তাঁরা চনমনে থাকেন। আর এতে আয়ুও বাড়ে। ক্যানসার, ডায়াবিটিস এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত অসুখ হয় না। মৃত্যুর সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় ওয়েট ট্রেনিং।
কিন্তু ওয়েট বা স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করলে কি লাভ হয় না? বেশিরভাগ মানুষই ওয়েট ট্রেনিং করেন মাসল বানাতে। দৈহিক সৌন্দর্যের জন্যই করেন তাঁরা। তবে গবেষণা বলছে, ওয়েট ট্রেনিংয়ে রোগবালাইয়ের সম্ভাবনা কমে।
Independent.uk-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দল ১৬টি আলাদা আলাদা সমীক্ষার তথ্য একত্রিত করেছেন। ওই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁরা দাবি করেছেন, প্রতি সপ্তাহে ৩০-৬০ মিনিট ট্রেনিং মৃত্যুর বিপদ ১০-২০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। তবে ৩ ঘণ্টার বেশি ওয়েট ট্রেনিং করলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে ১০ শতাংশ। আবার ৪০-৬০ মিনিট ওয়েট ট্রেনিং করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। অন্ত্রের ক্যানসার, কিডনি বিকলের সম্ভাবনা কমায় ওয়েট ট্রেনিং। ওই গবেষণায় আরও বলছে, ১৯ থেকে ৬৪ বছরের আয়ুর ব্যক্তিদের সপ্তাহে অন্তত ২ বার ওয়েট ট্রেনিং করা উচিত।
এই গবেষণায় মার্কিন ও পশ্চিমী দেশের নাগরিকদের নিয়ে করা হয়েছে। যাঁরা নিজেদের ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিয়েছেন তাঁদের উপর নির্ভর করছে গবেষণার ফল। গবেষণা বলছে, শরীরচর্চা করার সময়ে মায়োকাইন নামে একটি হরমোনের উৎপাদন হয়। এই হরমোন মেটাবলিজম, লিভার, মস্তিষ্ক ও কিডনিকে নিয়ন্ত্রণ করে। মায়োকাইনের আর একটা রূপ মায়োস্টোটিন। মাসলের আকার ধরে রাখে এটি। মেটাবলিজম বাড়ায়। কমায় ফ্যাট। শরীর থাকে তরতাজা। এর ফলে কমে মৃত্যুর আশঙ্কা।
বলে রাখি, বিভিন্ন ধরনের কৌশলে লোহা তুলে শরীরচর্চা করা হয়। এতে বল বাড়ে।
আরও পড়ুন- গরমে দিনভর থাকবে এনার্জি, বাড়িতেই বানান ফল-দই, রইল রেসিপি