Family Bonding Tips: বিয়ের পর মেয়েদের বাপের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে যেতে হয়। প্রাচীন এই প্রথা আজও চলে আসছে। মেয়ের বাপের বাড়িতে প্রায়ই স্বামীর সঙ্গে অতিথির মতো আচরণ করা হয়। জামাইয়ের অনেক যত্ন নেওয়া হয়। তবে অনেক ছেলেরাই আছে, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে চাইলেও মিশে উঠতে পারে না। কিছু সহজ সম্পর্কের টিপস জেনে রাখুন, যা অনুসরণ করলে আপনার স্বামী সেরা জামাই হয়ে উঠতে পারেন।
খোলামেলা কথা বলুন
অনেক সময় মেয়ের বাপের বাড়ি নিয়ে স্বামীর মনে কিছু ভুল বোঝাবুঝি বা কিছু ভুল ধারণা তৈরি হয়। স্বামীর সঙ্গে এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলুন এবং তার ভুল বোঝাবুঝি দূর করার চেষ্টা করুন। যাতে তারাও আপনার পরিবারের কাছাকাছি যেতে সক্ষম হয়।
ভুলত্রুটি লুকাতে শিখুন
অনেক সময় বাপের বাড়িতে মেয়ের স্বামীর ত্রুটি নিয়ে নালিশ শুরু করেন। যে কারণে বাবা-মায়ের চোখে স্বামীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যায়। তাই কারও সঙ্গে স্বামীর দোষ-ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করবেন না। এতে বাপের বাড়িতে স্বামীকে পূর্ণ সম্মান দেবে। তাদের সম্পর্কও ভালো থাকবে।
গসিপিং এড়িয়ে চলুন
সমস্যা সাধারণত সব বাড়িতেই ঘটে। শ্বশুরবাড়ির সমস্যায় বিরক্ত হয়ে মহিলারা প্রায়শই তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করেন। যে কারণে শুধু স্বামীরই নয়, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ভাবমূর্তিও নষ্ট হতে পারে। তাই শ্বশুরবাড়ির জিনিস বাড়িতেই সীমাবদ্ধ রাখুন। বাপের বাড়িতে বলা এড়িয়ে চলুন।
আত্মীয়দের সম্মান করুন
যদি আপনি স্বামীর সঙ্গে তার মা-বাবার সম্পর্ক উন্নত করতে চান, তাহলে এর জন্য সবার আগে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতি করতে হবে। স্বামীর সব আত্মীয়দের সম্মান করুন। স্বামীও আপনার সম্পর্ককে পূর্ণ সম্মান দেবেন। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হতে শুরু করবে।
আপনার স্বামীর সামনে আপনার শ্বশুর বাড়ির খারাপের তালিকা না করে আপনার শাশুড়ির বাড়ির কথা বলুন, এটি সম্পর্কে বলার দিকে মনোনিবেশ করুন। স্বামীর গৃহে গৃহকর্মীর ইতিবাচক দিকটা রাখুন। তাতে তার বাপের বাড়ির সম্পর্কে স্বামীর উপলব্ধি আরও ভাল হবে। এটি তার বাপের বাড়ির সঙ্গে তার বন্ধনকে দৃঢ় করবে।