Advertisement

Fatty Liver : ফ্যাটি লিভার ডেকে আনে হার্ট অ্যাটাক, কী কী খেলে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচবেন ?

ফ্যাটি লিভার। এখন কমবেশি সবাই এই নামের সঙ্গে পরিচিত। আসলে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে ফ্যাটি লিভার হয়। ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের হয়- অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার, যা অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করার কারণে হয় এবং অন্যটি নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার। খাবার নিয়ে সচেতন না থাকলে এই রোগ হয়। আসতে পারে মৃত্যুর ঝুঁকি।

ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 21 Aug 2023,
  • अपडेटेड 11:14 AM IST
  • লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে ফ্যাটি লিভার হয়
  • ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের হয়
  • এর কারণে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক

ফ্যাটি লিভার। এখন কমবেশি সবাই এই নামের সঙ্গে পরিচিত। আসলে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে ফ্যাটি লিভার হয়। ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের হয়- অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার, যা অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করার কারণে হয় এবং অন্যটি নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার। খাবার নিয়ে সচেতন না থাকলে এই রোগ হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়লে লিভার ক্যান্সারও হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তির লিভার সঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে শরীরে উপস্থিত চর্বি এবং প্রোটিন কোলেস্টেরল বা LDL (Low Density Lipoprotein) অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। 

লিভার যেভাবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন বিশেষজ্ঞ ড. রবি বলেন, লিভারের সমস্যা হার্টকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। লিভার চর্বিকে শক্তিতে রূপান্তর করতে এবং প্রয়োজনীয় প্রোটিন তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা একটি সুষম কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।

নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার বা ক্রনিক লিভারের মতো অবস্থার কারণে লিভারের ক্ষতি হলে, এটি লিপিড বিপাককে বাধা দেয় যার ফলে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। লিপিড বিপাকের ভারসাম্যহীনতা এথেরোস্ক্লেরোসিসের জন্ম দেয়, যা ধমনীতে বাধা সৃষ্টি করে, যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়। 

ফ্যাটি লিভারে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন ১. ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখুন। ফ্যাটি লিভার স্থূলতার কারণে হতে পারে। আপনি যদি ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমাতে চান, তাহলে আপনার ওজন কমিয়ে ফেলুন। ওজন কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করুন। 

২. সীমিত মদ্যপান করুন। অত্যাধিক ফ্যাটি লিভারের ফলে রোগ হতে পারে। আপনার যদি ফ্যাটি লিভার থাকে তবে মদ্যপান এড়ানো বা সীমিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

Advertisement

৩. স্বাস্থ্যের ভারসাম্য বজায় রাখুন আপনার যদি ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তবে সেগুলিকে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, ফ্যাটি লিভার এভাবে আপনার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। 

৪. স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন, আপনার খাদ্য থেকে পরিশোধিত মিষ্টি এবং চিনি কমিয়ে দিন। খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন যার মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি। 

৫. অপ্রয়োজনীয় ওষুধ এড়িয়ে চলুন: প্রথমত, কেমিস্টের দোকান থেকে কোনো ওষুধ কেনার পর খাবেন না। এ ছাড়া কোনো রোগের ওষুধ চললে লিভারে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে কিনা তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement