মাছের প্রতি বাঙালির ভালোবাসার কথা প্রায় সকলের জানা। ইলিশ, রুই, কাতলা, ভেটকি, পাবদা, পারশে, চিতল, কই, বাটা, মৌরলা ইত্যাধি ছোট- বড় টাটকা মাছ বাজার থেকে কেনার জন্য ভিড় জমে সকাল- সন্ধ্যে। মাছের নানা পদের পাশাপাশি, মাছের ডিমও (Fish Eggs) অনেকেরই পছন্দের তালিকার একেবারে শুরুতে থাকে।
ইউনাইটেড স্টেটস্ ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (USDA) এর পরীক্ষা অনুযায়ী, ১ টেবিল চামচ (১৬ গ্রাম) মাছের ডিমের নিউট্রিশন ভ্যালু হলঃ ক্যালোরিজ - ৪২, ফ্যাট - ৩ গ্রাম, সোডিয়াম - ২৪০ মাইক্রোগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট - ০.৬ গ্রাম, ফাইবার - ০ গ্রাম, সুগার - ০ গ্রাম, প্রোটিন - ৪ গ্রাম। এছাড়াও এতে রয়েছে অনেক ভিটামিন এবং খনিজ।
মাছের পুষ্টিগুণ (Fish Health Benefits) সম্পর্কে জানলেও, এর ডিমের উপকারিতা (Fish Egg Benefits) সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয়। জানুন কেন খাবেন মাছের ডিম।
মাছের ডিমের উপকারিতা (What Are The Health Benefits Of Fish Eggs)
* মাছের ডিমে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এছাড়াও মাছ ও মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের লক্ষণ কমায়। সেই সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় ও প্রদাহ হ্রাস করে।
* এতে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর উপাদান রক্ত পরিষ্কার করে ও হিমোগ্লোবিন বাড়ায়, যা অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
* শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় মাছের ডিম।
* মাছের ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের জন্য ভাল। এটি দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে এবং এতে মজুত ডিএইচএ ও ইপিএ শিশুদের চোখের জ্যোতি বাড়ায় ও রেটিনার কার্যকারিতাকে উন্নত করে।
* যারা হার্টের রোগী, তাদের জন্য মাছের ডিম দারুণ উপকারী। এমনকী উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
* মাছের ডিমে থাকা ভিটামিন-ডি হাড় শক্ত করে এবং দাঁত মজবুত করে।
* অ্যালঝাইমারের রোগীদের জন্য উপকারী মাছের ডিম। এতে থাকা উপকারী উপাদান বয়সজনিত সমস্যা দূর করে।
* উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মাছের ডিম। যাদের হাইপারটেনশনের সমস্য়া রয়েছে, তাদের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।