Fish Side Effects: খুব কম বাঙালি পরিবারই আছেন, যাঁরা হয়তো মাছ খান না। মাছ ঝোলে কিংবা ভাজা খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। কিন্তু জেনে রাখা প্রয়োজন যে মাছ বেশি পরিমাণে খেলে অনেক সমস্যাতেই ভুগতে হতে পারে। ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে মাছ খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা প্রয়োজন (Fish Side Effects)। কারণ, এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ারও সম্ভাবনা থেকে যায়।
মহিলাদের গর্ভবতী অবস্থায় মাছ খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে। গর্ভাবস্থায় মাছ খাওয়া কমাতে প্রয়োজন। কারণ অতিরিক্ত মাছ খাওয়া ভ্রূণ, শিশুর বিকাশকে বাধা দিতে পারে। দুধ খাওয়ার পরও মাছ খাওয়া উচিত নয়। মাছ ও দুধ খেলে শরীরে সাদা দাগ হতে পারে। আপনি যদি মাছ খাওয়ার শৌখিন হন, তবে একটি বিষয়ের বিশেষ যত্ন নিন যে মাছ খাওয়ার পর দুধ খাবেন না। মাছের পর দুধ খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত মাছ খাওয়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। বেশি মাছ খেলে শরীরে পারদ বা পিসিবির পরিমাণ বেড়ে গেলে মস্তিষ্ক বা স্নায়ুতন্ত্রের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এর কারণে ভুলে যাওয়া রোগের ঝুঁকিও রয়েছে, তাই সীমিত পরিমাণে মাছ খাওয়া উচিত।
এ ছাড়া বেশ কিছু ছোট মাছে ডিডিই নামক বিষাক্ত পদার্থ থাকে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আপনি যখন ছোট মাছ খান, তখন এই পদার্থটি ধীরে ধীরে আপনার লিভারে জমতে শুরু করে। যার কারণে স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এর পাশাপাশি আপনার মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের অনেক ক্ষতি করতে পারে। ফলে প্রচুর পরিমাণে মাছ খাওয়া এড়িয়ে চলুন। সেই সঙ্গে এমন মাছ বেছে নিন, যাতে পারদ ও পিসিবি কম থাকার সম্ভাবনা থাকে। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পারদযুক্ত মাছ খান, তবে তা আপনার শরীরের জন্য মারাত্মক হতে পারে। বিষণ্ণতা, বিরক্তি এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসের মতো সমস্যাতে ভুগতে পারেন। ফলে কোনও কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার আগে প্রথমেই চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন।