Bad Cholesterol Control Tips: বর্তমান সময়ে বাজার এমন অনেক খাবার পাওয়া যায় যেগুলোতে অতিরিক্ত তেল, মশলা এবং চর্বিযুক্ত জিনিস ব্যবহার করা হয়। সেটা চাউমিন হোক, পিৎজা হোক বা মোমো এথবা বার্গার। এসব খাবার শরীরে কোলেস্টেরল বাড়াতে কাজ করে। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়। কোলেস্টেরলের কারণে একজন ব্যক্তি মোটা হতে শুরু করে এবং কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান কারণ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান কোলেস্টেরল কমাতে প্রতিদিন কিছু খাবার খাওয়া যেতে পারে। এই খাবারগুলো কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকরী প্রমাণিত হয়।
কোলেস্টেরল কমানোর খাবার
আপেল
ফাইবার সমৃদ্ধ আপেল উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকরী প্রমাণিত হয়। একটি আপেলে ৩ থেকে ৭ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে। এতে পাওয়া পলিফেনল কোলেস্টেরল কমাতে ভালো প্রভাব দেখায়। আপেল সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী প্রমাণিত হয়ে থাকে।
ওটস
আপেলের মতো ওটসও ফাইবার সমৃদ্ধ। এ কারণে কোলেস্টেরল কমাতে ওটসও খাওয়া যেতে পারে। ওটসকে নানাভাবে ডায়েটের অংশ করা যায়। আপনি সকালের ব্রেকফাস্টে দুধের সঙ্গে খেতে পারেন এবং সবজি যোগ করে মাসালা ওটসও খেতে পারেন।
সয়াবিন
সয়াবিন এবং সয়া থেকে তৈরি অন্যান্য প্রডাক্টও কোলেস্টেরল কন্ট্রোলে ভালো বলে প্রমাণিত হতে পারে। আপনি কোলেস্টেরল কমানোর ডায়েটে সয়া দুধ, টফু এবং সয়া দই খেতে পারেন। এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সয়াবিন একটি লাভজনক বিকল্প।
ঢ্যাঁড়স
শাকসবজির মধ্যে, ওকরা বা ঢ্যাঁড়স কোলেস্টেরল কন্ট্রোল ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ঢ্যাঁড়সে ক্যালরি কম কিন্তু দ্রবণীয় ফাইবার বেশি। এটি আপনার পছন্দের উপায়ে খাওয়া যেতে পারে এবং আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী রান্না করাও যায়। কোলেস্টেরল কন্ট্রোলে রাখতে সাহায্য করবে।
ড্রাই ফ্রুটস
চিনাবাদাম, বাদাম এবং আখরোটে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি যা হার্টকে সুস্থ রাখে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এগুলোও খাওয়া যেতে পারে। আপনি এই বাদামগুলি স্ন্যাক হিসাবে খেতে পারেন বা সালাডে যোগ করতে পারেন।
Disclaimer: এই বিষয়বস্তু শুধুমাত্র পরামর্শ সহ সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। আজতক বাংলা এই তথ্যের দায় স্বীকার করে না।