Advertisement

Frozen Human Breast Milk: ভারতে ৪৫০০ টাকায় বিকোচ্ছে ৩০০ মিলি স্তন্যদুগ্ধ, কেন 'মায়ের দুধে'র এত চাহিদা?

চলতি বছর জুলাইয়ে স্তন্যদুগ্ধ বিক্রি করার দায়ে নিওল্যাক্টা লাইফসায়েন্স প্রাইভেট লিমিটেডের লাইসেন্স বাতিল করে ভারতের খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা। FSSAI-র দাবি, এ দেশের 'মায়ের দুধ' বিক্রির অনুমতি নেই। এই সংস্থা ৩০০ মিলি হিমায়িত মায়ের দুধ বিক্রি করছিল ৪৫০০ টাকায়। ইংল্যান্ডের ব্রেস্ট মিল্ক প্রসেসিং সংস্থার ৫০ মিলি মাতৃদুগ্ধের দাম ৪৩০০ টাকা।  

মাতৃদুগ্ধ।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 17 Oct 2022,
  • अपडेटेड 2:07 PM IST
  • চলতি বছর জুলাইয়ে স্তন্যদুগ্ধ বিক্রি করার দায়ে নিওল্যাক্টা লাইফসায়েন্স প্রাইভেট লিমিটেডের লাইসেন্স বাতিল করে ভারতের খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
  • FSSAI-র দাবি, এ দেশের 'মায়ের দুধ' বিক্রির অনুমতি নেই।

শিশুর বিকাশের জন্য মায়ের দুধের কোনও বিকল্প নেই। মায়ের দুধ খেয়ে সে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে ওঠে। বাড়ে হজমশক্তি। সেই সঙ্গে থাকে না সংক্রমণের ঝুঁকিও। এত গুণ থাকা স্তন্যদুগ্ধই বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে। শুনতে অবাক রাখলেও রীতিমতো প্যাকেটজাত করে বিকোচ্ছে মায়ের দুধ। হালে 'মায়ের দুধ' বিক্রি রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করেছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI)। তারা জানিয়ে দিয়েছে, কোনও সংস্থা মায়ের দুধ পণ্য হিসেবে বিক্রি করলে এফএসএস আইন ২০০৬-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

চলতি বছর জুলাইয়ে স্তন্যদুগ্ধ বিক্রি করার দায়ে নিওল্যাক্টা লাইফসায়েন্স প্রাইভেট লিমিটেডের লাইসেন্স বাতিল করে ভারতের খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা। FSSAI-র দাবি, এ দেশের 'মায়ের দুধ' বিক্রির অনুমতি নেই। এই সংস্থা ৩০০ মিলি হিমায়িত মায়ের দুধ বিক্রি করছিল ৪৫০০ টাকায়। ইংল্যান্ডের ব্রেস্ট মিল্ক প্রসেসিং সংস্থার ৫০ মিলি মাতৃদুগ্ধের দাম ৪৩০০ টাকা।  

কেন স্তন্যদুগ্ধের চাহিদা?  

ভারত, কম্বোডিয়া, আমেরিকা এবং ইংল্যান্ড-সহ সারা বিশ্বে স্তন্যদুগ্ধ ব্যাপক জনপ্রিয়। পণ্য হিসেবে বিভিন্ন দেশের বাজারে বিকোয়। মাতৃদুগ্ধের পুষ্টিগুণ নষ্ট করা হয় না। বরং আরও বিবিধ জিনিস মিশিয়ে তা স্বাস্থ্যসম্মত করে তোলা হয়। জানা গিয়েছে, রোগে ভোগা ব্যক্তি,কসরত করে শরীর তৈরি করেন যাঁরা, তাঁরা এই মাতৃদুগ্ধ কেনেন। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে মাতৃহারা বা মায়ের দুধে সমস্যা থাকা শিশুদের দেওয়া হয়। ইংল্যান্ডেই একটি সংস্থা যে সব মায়েদের স্তন্যদুগ্ধের সমস্যা রয়েছে তাঁদের অনলাইনে দুধ পাঠায়। 

কেন মাতৃদুগ্ধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা? 

মায়ের স্তন থেকে দুধ সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ঝুঁকিও। নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসরণ না করা হলে দুধে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া মিশে গিয়ে বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে। যা শিশুদের তো বটেই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও ক্ষতিকর। 
একটি গবেষণার দাবি,হিমায়িত স্তন্যদুগ্ধে তাজা দুধের তুলনায় কম অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। অনেকক্ষণ হিমঘরে ওই দুধ রাখা থাকলে কমতে পারে তার পুষ্টিগুণ। 

Advertisement

কীভাবে স্তন্যদুগ্ধ সংগ্রহ?   

স্তন্যদুগ্ধ সংগ্রহের একটি যন্ত্র রয়েছে যা স্তনবৃন্তের উপর রাখা হয়। তার পর পাম্প করে দুধ আহরণ করেন বিশেষজ্ঞরা। বাজারে এমন ধরনের ব্রেস্ট পাম্প পাওয়া যায়। কোনওটা ব্যাটারিচালিত আবার কোনওটা বৈদ্যুতিন। এমনকি হাত দিয়েও পাম্প করার মেশিন রয়েছে। এমন অনেক মহিলা রয়েছেন যাঁরা প্রতিদিন কাজে বেরোন। তাঁরা পাম্পে দুধ সংগ্রহ করে শিশুর জন্য রেখে যেতে পারেন। 


স্তন্যদুগ্ধ কতক্ষণ ফ্রিজে রাখা যায়?

স্তনের দুধ আহরণের পর প্রায় ৮ দিন পর্যন্ত হিমঘরে রাখা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪ দিনের মধ্যে ব্যবহার করা উচিৎ। দুধের সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ০ ডিগ্রি থেকে ৩.৮ ডিগ্রি রাখতে হবে। 

কতক্ষণ বুকের দুধ ঘরের তাপমাত্রায় রাখা যায়?

এটা নির্ভর করে ঘরের তাপমাত্রার উপর। ঘরের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম হলে ৪ ঘণ্টার কম সময়ের জন্য রাখা যেতে পারে। 

স্তনের দুধ কতক্ষণ ফ্রিজে রাখা যায়?

ব্রেস্ট মিল্ক ফ্রিজে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত নিরাপদ রাখা যায়। ডিপ ফ্রিজারে ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে।

আরও পড়ুন- 'গুজবে কান দেবেন না,' কালীপুজোয় সুপার সাইক্লোন নিয়ে জানাল মৌসম ভবন

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement