Garlic Benefits: রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি প্রধান যৌগ রয়েছে, যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। এছাড়াও, এটি ভিটামিন এবং পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ। ভিটামিন বি১, বি৬, সি ছাড়াও এতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, কপার, সেলেনিয়াম এবং অন্যান্য প্রধান লবণ। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ রসুন খেলে অনেক রোগ দূরে থাকে। রসুন থেকে সর্বাধিক উপকার পেতে, এটি কাঁচা খাওয়া উচিত। খুব বেশি রান্না করলে এর কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।
রসুনের উপকারিতা
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য রসুনের চেয়ে ভালো আর কিছুই নেই। এটি রক্ত সঞ্চালন এবং কম কোলেস্টেরল বজায় রাখতে সহায়ক। এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে অনেক হৃদরোগ নিজেরাই দূরে থাকে। হার্টকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সকালে একটি কাঁচা রসুনের কুঁড়ি খেলে উপকার পাওয়া যায়। উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও রসুনের ব্যবহার খুবই উপকারী। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বিশেষ করে সিস্টোলিক রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের অবশ্যই রসুন খাওয়া উচিত।
বাতের ব্যথা উপশমেও রসুনের ব্যবহার উপকারী। এটি আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য একটি নিখুঁত ওষুধ। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য বাতের ব্যথায় দারুণ উপশম দেয়। রসুনকে আপনার ডায়েটের অংশ করে বাতের ব্যথায় উপশম পেতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও রসুন একটি অনন্য ওষুধ। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি, বি৬ এবং অন্যান্য মিনারেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এছাড়াও, এটি সংক্রমণ প্রতিরোধেও কার্যকর।
রসুনের একাধিক উপকার
সর্দি-কাশির চিকিৎসায়ও রসুন একটি কার্যকর ওষুধ। তাড়াতাড়ি শ্বাসকষ্টের রোগেও রসুন উপকারী।ছত্রাক সংক্রমণেও রসুন খুবই উপকারী। অনেক সময় পায়ের আঙ্গুলের মাঝে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কাঁচা রসুন ব্যবহার করলে এ ধরনের রোগ দূরে থাকে এবং সেই স্থানে কাঁচা রসুন পিষে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। লবঙ্গের মতো রসুনও দাঁতের ব্যথায় খুবই উপকারী। আক্রান্ত দাঁতে রসুনের তেল লাগালে দাঁতের ব্যথা উপশম হয়। এতে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে। রসুনের ব্যবহার হজম প্রক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে। এতে উপস্থিত অনেক পুষ্টি উপাদান খাবার হজমে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি অনেক গবেষণায় এটাও বলা হয়েছে যে রসুনের ব্যবহার ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। যারা রসুন ব্যবহার করেন তাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। তবে কোনও কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ প্রত্যেক খাবারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে। ফলে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।