Garlic Harmful Effects: ভারতে এমন অনেক সবজি রয়েছে যা আপনার শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে, যার মধ্যে অন্যতম রসুনও। রসুন এমন একটি জিনিস, যা অনেক রান্নায় ব্যবহৃত হয়। শাকসবজি থেকে শুরু করে জাঙ্ক ফুড, সবেতেই রসুন ব্যবহার করা হয়। বলা হয়, একাধিক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা দেয় রসুন। যারা রসুন খান, তাদের রোগ-জ্বালা থেকে দূরে থাকেন। রসুনকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ বলে মনে করা হয়। এটি অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা জোগায়। এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যায় রসুন না খাওয়াই ভাল। কারণ, রসুনে বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। চলুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
শীতকালে রসুন খুবই উপকারী:
রসুন শীতকালে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে, তবে গরমে এর পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। বলা হয় রসুন খুব গরম। সেজন্য গ্রীষ্মকালে এটি খুব কম খাওয়া উচিত এবং শীতকালে এটি বেশি খাওয়া উচিত। যখন খাবারে রসুনের স্বাদ হয়, তখন স্বাদ নিজেই পরিবর্তিত হয়, তবে এর পরিমাণ ঠিক করা উচিত। রসুন যদি শরীরে মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায়, তাহলে তা আপনার জন্য রোগও ডেকে আনতে পারে। সেজন্য এটি খাওয়ার আগে ভালো করে জেনে নেওয়া খুবই জরুরি। রসুন কি আপনার শরীরের রোগ বাড়াচ্ছে তাই না।
কাদের রসুন থেকে দূরে থাকা উচিত?
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাসিডিটি, গ্যাস, পেটে জ্বালাপোড়া, লুজ মোশনে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের রসুন খাওয়া উচিত নয়। এতে তাদের রক্তচাপ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। যা কখনও কখনও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। পেটে জ্বালাপোড়া থাকলেও রসুন খাওয়া উচিত নয়। যাদের লুজ মোশন আছে, বিশেষ করে তাদের রসুন খাওয়া উচিত নয়। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি রসুন খান তাহলে আপনার স্বাস্থ্য সমস্যা আরও বাড়তে পারে। রসুন উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগীদেরও ক্ষতি করে, বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই নিবন্ধে দেওয়া তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞান আর ধারণার জন্য। যে কোনও প্রতিকার বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।