গরুড় পুরাণ হিন্দু ধর্মে ১৮টি মহাপুরাণের মধ্যে একটি। এর পাশাপাশি এটি একমাত্র বই, যেটায় মৃত্যু ও মৃত্যুর পরের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এর অধিপতি স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু। গরুড় পুরাণে সুখী জীবন যাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত জ্ঞান, ধর্ম এবং নীতি সম্পর্কিত অনেক বিষয় বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি জীবন ধারণের অনেক সূত্রও বলা হয়েছে। গরুড় পুরাণে, ৪ ধরণের লোকের কথা বলা হয়েছে, যাদের সঙ্গে ভালোবেসে কথা বলা বা নম্র আচরণ দেখানোয় আপনার অসুবিধা হতে পারে। তাই এই ধরনের লোকদের সঙ্গে সবসময় কঠোরভাবে ব্যবহার করুন। জানুন এই মানুষ সম্পর্কে।
যারা খুব বেশি রেগে যায়
এরকম লোক যাদের স্বভাব খুব রাগী ও চিড়চিডে়, তাদের সঙ্গে নরমভাবে বা শালীনতা দেখিয়ে কথা বলে আপনার কোনও লাভ হবে না। কারণ এই ধরনের লোকেরা তাদের কথাকে সঠিক প্রমাণ করতে এবং আপনাকে দুর্বল করার জন্য যে কোনও কিছু করতে পারে। সেজন্য উগ্র প্রকৃতির একজন ব্যক্তিকে শান্ত করার জন্য আপনাকে কঠোর আচরণ করতে হবে।
যারা কাজ এড়িয়ে চলে
কিছু মানুষ কাজের প্রতি খুবই উদাসীন হয়ে থাকে আর সর্বদা কাজ এড়িয়ে চলার জন্য অনেক ধরনের অজুহাত দিয়ে থাকে। এ ধরনের লোকদের প্রতি করুণা প্রদর্শন করা ঠিক নয়। আপনি তাদের সঙ্গে যত কঠোর হবেন, তত ভাল হবে। কারণ এই ধরনের লোকদের সঙ্গে আপনি যত বেশি বিনয়ী হবেন, তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
পরিচারক
পরিচারক বা বাড়িতে যারা কাজ করে তাদের সঙ্গে বেশি ভালোবাসার আচরণ করা বা আলাপ বাড়ানো উচিত নয়। আপনি যদি তাদের সঙ্গে নরম হন তবে তারা আপনার সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ শুরু করবে, আপনাকে মালিক বলে ভাববে না । ধীরে ধীরে তারা আপনার সঙ্গে এতটাই মিশে যাবে যে কখনও কখনও তারা আপনাকে অপমানও করতে পারে। সেজন্য চাকরদের সঙ্গে কঠোরভাবে আচরণ করা দরকার এবং যতটা প্রয়োজন ততটাই কথা বলুন।
স্ত্রী
স্ত্রীয়ের সম্মান সর্বদা করা উচিত এবং স্ত্রীয়ের সঙ্গে ভালোবেসে ব্যবহার করুন। কারণ এই কথাটা মনে রাখতে হবে যে স্ত্রী পুরো ঘর-পরিবারকে সামলে রাখেন। এমতাবস্থায় তিনি যদি কখনো পরিবারের প্রতি কর্তব্য পালন না করেন বা বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হন, তাহলে কিছুটা কঠোরতা দেখানো প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যদি স্ত্রী তাঁর নিজের কাজ না করেন তবে তার সঙ্গে ভদ্র আচরণ না করে কঠোরতা দেখানোর প্রয়োজন রয়েছে।