শ্রীমদভাগবত গীতায় জীবনযাপনের কথা বলেছেন শ্রীকৃষ্ণ। গীতার এই শিক্ষাগুলি মহাভারতের যুদ্ধের সময় শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে দিয়েছিলেন। গীতার সেই শিক্ষা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। জীবন যাপনের সঠিক পথ দেখায় গীতা। গীতার বাণী জীবনে গ্রহণ করলে মানুষ জীবনে উন্নতি লাভ করে। গীতাই একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা মানুষকে বাঁচতে শেখায়। গীতা জীবনে ধর্ম, কর্ম এবং প্রেমের পাঠ শেখায়। গীতার কথা মানলে জীবনে সাফল্য নিশ্চিত।
প্রতিকূলতাই শেখায়- শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন,যাঁরা কখনও জীবনে সমস্যার মুখে পড়েননি, তাঁর কোনওদিনই নিজেদের শক্তি সম্পর্কে বুঝতে পারবেন না। প্রতিকূলতা না এলে মানুষ নিজের শক্তি বুঝতে পারেন না। নিজের আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে জ্ঞাত হন না।
মনের সত্য- মনের সত্য কখনও নষ্ট হয় না। মানুষের হিতসাধনের ভাবনা থাকাই হল ঈশ্বর সাধনা। সৎ মন থাকলেই ঈশ্বরলাভ হয়।
কর্ম- মানুষের ভাগ্য তাঁর অতীত কর্মের ফল। আজকের কাজ আমাদের আগামী নির্ধারণ করে। তাই আমাদের উচিত সবসময় কর্ম করে চলা। কর্মের ফল মেলেই।
মনকে শান্ত- শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, শান্তি, বিনয়, নীরবতা, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং সততা- এই পাঁচটি জিনিস মনকে শৃঙ্খলা দেয়। প্রতিটি মানুষের মধ্যে এই সমস্ত গুণ থাকা উচিত, তবেই সে সঠিক পথে চলতে পারে।
স্ব-প্রতিভা- গীতার মতে,প্রত্যেক মানুষেরই কোনও না কোনও প্রতিভা থাকে। কিন্তু মানুষ এই প্রতিভাকে চিনতে না পেরে অনেক সময় অন্যের মতো হয়ে ওঠার জন্য তা ধ্বংস করে দেয়। তাই অন্যের মতো হয়ে ওঠা উচিত নয়। বরং নিজের প্রতিভাকে চেনা দরকার।
ঈশ্বরের নিমিত্তে অর্পণ- শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন,ইশ্বরের কাছে সমর্পণ করতে হবে। এর মাধ্যমে মুক্ত জীবনের আনন্দ অনুভব করবেন। তাই ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করে নিজের কর্ম করে চলা উচিত।