বয়স বাড়ার সঙ্গে মুখেও স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে। ৪০ বছর বয়সের পরে বেশিরভাগ মানুষের মুখ নিস্তেজ এবং প্রাণহীন দেখাতে শুরু করে। তার উপর বলিরেখা এবং শুষ্কতা সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। নারী হোক বা পুরুষ, সবার মুখের দীপ্তিই ম্লান হয়ে যায়। আত্মবিশ্বাস হারাতে থাকে তারা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের এই সমস্যাগুলির সঙ্গে লড়াই শুরু হয় অনেকের। খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। শুধু তাই নয়,৪০-৪৫ বছর বয়সেও ২৫ বছর বয়সের উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে পারেন। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল, এজন্য দামি ক্রিম বা পণ্য কেনারও প্রয়োজন হবে না। খালি জল খাওয়ার অভ্যাস ঠিকঠাক করলেই হবে।
জল খাওয়ার ৫টি নিয়ম মেনে চললে দীর্ঘ সময়ের তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব। এই নিয়মগুলি অবলম্বন করলেই মুখ আশ্চর্যজনকভাবে উজ্জ্বল হবে। এর পাশাপাশি নিজেকে অনেক রোগ থেকেও দূরে রাখতে সক্ষম হবেন।
এই নিয়মগুলি কী?
প্রথম নিয়ম,খাওয়ার পর জল পান করা যাবে না- অধিকাংশ মানুষের খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল পানের অভ্যাস থাকে। এই অভ্যাস থেকে নিজেকে দূরে থাকুন। খাবার খাওয়ার পর পানীয় জলে অন্তত আধ ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। তবে অতিরিক্ত পিপাসা লাগলে দুধ বা বাটার মিল্ক পান করতে পারেন।
দ্বিতীয় নিয়ম, দাঁড়িয়ে জল খাওয়া- স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,দাঁড়িয়ে জল পান করলে অনেক সময় খাবার ও বাতাসের নলিতে অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তা ফুসফুসের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। আয়ুর্বেদ অনুসারে,দাঁড়িয়ে জল পান করলে তা সরাসরি ভিতরে চলে যায়। এমনভাবে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ভিটামিন লিভার এবং পরিপাকতন্ত্রে পৌঁছয় না। এর ফলে স্নায়ুতে চাপ পড়ে। তরলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শরীরে টক্সিন এবং বদহজম বাড়তে শুরু করে।
তৃতীয় নিয়ম, তাড়াহুড়ো করে জল পান না করা যায় না। শরীর ঠিকমতো জল শোষণ করতে না পেরে তা বাইরে ফেলে দেয়। শরীর জল খাওয়ার সুফল পায় না। এতে হজমও ঠিকমতো হয় না। সেজন্য চুমুক দিয়ে জল পান করা জরুরি।
চতুর্থ নিয়ম, বেশি ঠান্ডা জল খাবেন না- ঠান্ডা জল পান করলে রক্তনালিগুলি সঙ্কুচিত হয় এবং পরিপাকতন্ত্রে রক্ত পৌঁছতে বাধা পায়। বিশেষ করে খাবারের সঙ্গে ঠান্ডা জল পান করলে চর্বি শক্ত হয়, যা বদহজমের কারণ হতে পারে। এই সমস্ত সমস্যা আপনার ত্বককেও প্রভাবিত করে।
পঞ্চম নিয়ম, হালকা গরম জল পান করুন- সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ফ্রেশ হয়ে এক গ্লাস কুসুম গরম জল পান করলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন মূত্র ও মলের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এর পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা আনতেও কাজ করে। এই সমস্ত নিয়ম মেনে চললে আপনি শুধু উজ্জ্বল ত্বকই পেতে পারবেন না। আপনি কিডনি, ফুসফুস, হজম ইত্যাদির সমস্যা থেকেও নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন।