ব্যস্তবহুল জীবনযাত্রা, খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরে পুষ্টির অভাবের কারণে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যেরও খারাপ প্রভাব পড়ছে আজকাল। খারাপ জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে মানুষ অল্প বয়সে চুল পাকার সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আগে চুল পাকা বার্ধক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু এখন খুব অল্প বয়সেই চুল পাকতে শুরু করে।
আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশনের মতে, গড়ে ৩০-৪০ বছর বয়সে চুল সাদা হতে শুরু করে। কিন্তু মানুষের চুল খুব অল্প বয়সে, যেমন ১৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে, ধূসর হতে শুরু করে। চুল পাকা শরীরের অনেক ঘাটতিও নির্দেশ করে। বিশেষজ্ঞর সঙ্গে পরামর্শ করার পাশাপাশি, কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমেও পাকা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন ঠিক কী কারণে চুল কম বয়সে সাদা হয় এবং এর ঘরোয়া প্রতিকার কী।
কেন চুল ধূসর হয়?
চুলের ফলিকল মেলানিন তৈরি বন্ধ করে দিলে চুল ধূসর হয়ে যায়। মেলানিন হল এমন একটি পদার্থ যা আপনার ত্বক এবং চুলকে রং দেয়। চুল সর্বদা বিভিন্ন পর্যায়ের একটি চক্রের মধ্য দিয়ে যায়। প্রতিবার যখন চুল এই চক্রগুলির একটি শুরু করে, তখন চুলে মেলানিন তৈরি হয়। প্রতিটি চক্র বেশ কয়েক বছর স্থায়ী হয়। ৭-১৫ চক্রের পরে, মেলানিন আবার বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়, যার ফলে আপনার চুলের রং হারায়।
যদিও গবেষকরা ধূসর চুল প্রতিরোধের উপায় খুঁজছেন। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনে কিছু সময়ের জন্য চুল ধূসর হওয়া থেকে রোধ করতে পারেন। চুল পড়ার মতো, যত তাড়াতাড়ি ধূসর চুলের সমস্যার দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করবেন, তত তাড়াতাড়ি এবং ভাল ফল পাবেন। মনে রাখতে হবে যে, এগুলো অস্থায়ী সমাধান এবং এগুলো চুল পাকা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে পারবে না।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা
ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। একটি সুষম খাদ্য আপনার চুল, মাথার ত্বক এবং চুলের ফলিকলগুলিকে সুস্থ রাখার জন্য পুষ্টি জোগায়।
ভাল ঘুম
ভাল ঘুম পুরো শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শরীর কেবল ঘুমের সময় নিজেকে মেরামত করে, তাই প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে ভুলবেন না।
ধূমপান এড়িয়ে চলুন
আপনি যদি পাকা চুলের সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। এর কারণ হল ধূমপান অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায় যা, চুলের ফলিকলগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং মেলানিন হ্রাস করতে পারে। ফলে ধূমপান থেকে দূরে থাকাই ভাল।