পেয়ারার স্বাদ প্রায় সবাই পছন্দ করেন। শীতকালে মানুষ খুবই ভালবেসে পেয়ারা খান। কখনও কাঁচা, কখনও চাটনি, কখনও আবার পেয়ারা সবজি হিসেবেও খাওয়া হয়। পেয়ারা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণই উপকারী। এতে অনেক প্রচুর ঔষধি গুণও। পেয়ারায় পাওয়া যায় ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বেশকিছু মিনারেল। পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী, তেমনই কিছু মানুষের আবার এই ফল খেলে সমস্যাও হতে পারে। পেয়ারাতে উপস্থিত কিছু উপাদান কয়েকটি রোগের জন্য খুবই সমস্যা তৈরি করতে পারে। বাড়তে পারে শারীরিক সমস্যা। তাই যাঁদের সেই সমস্ত রোগ রয়েছে তাঁদের পেয়ারা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন রোগে পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়।
সর্দি-কাশি (Cold And Cough)
পেয়ারা ঠান্ডা ফল। তাই এটি খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সর্দি, কাশি বা ঠান্ডা লাগলে পেয়ারা এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে কাশিতে পেয়ারা খাওয়া স্বাস্থ্যের বিশেষ ক্ষতি করতে পারে। যেহেতু শীতকালে অনেকেই সর্দি কাশির সমস্যায় ভোগেন, তাই পেয়ারা খাওয়ার আগে শারীরিক পরিস্থিতি বুঝে নিন।
দাঁতের সমস্যা (Dental Problem)
পেয়ারা মূলত শক্ত ফল। কাঁচা পেয়ারা চিবানোও কঠিন। সেক্ষেত্রে দাঁত বা মাড়ির সমস্যা থাকলে পেয়ারা এড়িয়ে চলাই ভাল। পেয়ারা খেলে এই ধরনের সমস্যা বাড়তে পারে। তাছাড়া যেহেতু পেয়ারার স্বাদ টক, তাই এটি খেলে সেন্সিটিভিটির সমস্যাও হতে পারে।
ডায়রিয়া এবং পেট ফাঁপা (Diarrhea)
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু যদি হজম সংক্রান্ত কোনও সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে পেয়ারা খাওয়া এড়িয়ে চলুন। ডায়রিয়া বা পেট ফাঁপলে পেয়ারা না খাওয়াই ভাল। তাতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
হাই সুগার (High Blood Sugar)
এমনতি ডায়াবেটিস রোগীরা পেয়ারা খেতে পারেন। তবে রক্তে সুগারের মাত্রা খবু বেশি থাকলে পেয়ারা না খাওয়াই ভাল। কারণ ন্যাচারাল সুগার সত্ত্বেও পেয়ারা রক্তে এর মাত্রা বাড়াতে পারে। তাই বিবেচনা করে খান।