
চুল পড়ার সমস্যায় ভুগতে থাকেন অনেকেই। বিভিন্ন শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহার করেও লাভ হয় না। টেলিভিশন ও সংবাদপত্রের নানা বিজ্ঞাপন দেখে আমরা বিভ্রান্ত হয়ে যাই। তবে তাতেও কোনও লাভ হয় না। তবে এবার টাক পড়া ব্যক্তিদের জন্য সুখবর। কারণ তাইপেইয়ের বিজ্ঞানীরা একটি ভেষজ চুল বৃদ্ধির সিরাম তৈরি করেছেন যা ৫৬ দিনের মধ্যে চুলের ঘনত্ব এবং ঘনত্ব নাটকীয়ভাবে উন্নত করে।
MedRxiv-এ প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, তাইওয়ানের কোম্পানি Schweitzer Biotech (SBC) এর প্রধান গবেষক ডঃ সং মিন চ্যাং তৈরি করেছেন এই সিরামটি। এটা কোনও সাধারণ তেল বা লোশন নয়। এটি বিজ্ঞান এবং প্রকৃতির সমন্বয়ে কিছু উপাদান।
ক্যান্টেলা এশিয়াটিকা (গ্রীষ্মমন্ডলীয় উদ্ভিদ): এই উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত বহিকোষীয় ভেসিকল' কোষে সংকেত প্রেরণকারী সিরাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে।
বৃদ্ধির কারণ (IGF-1 এবং FGF-7): এই প্রোটিন সংকেতগুলি চুলের। ফলিকলগুলিকে সক্রিয় রাখতে এবং নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে প্যানথে নলও রয়েছে। ক্যাফিন মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, অন্যদিকে প্যানথে নল চুলকে আর্দ্রতা দেয়।
গবেষকরা জানিয়েছেন যে ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্কের উপর একটি এলোমেলো, ডাবল-ব্লাইন্ড ট্রায়াল পরিচালিত হয়েছিল। এর অর্থ হল রোগী বা ডাক্তার কেউই জানতেন না যে কে আসল ওষুধটি গ্রহণ করছে এবং কে গ্রহণ করছে না।
আট সপ্তাহ পর, প্রতি রাতে ১ মিলি সিরাম প্রয়োগের ফলে চুলের ঘনত্ব ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বিজ্ঞানীরা ১৪, ২৮, ৪২ এবং ৫৬ দিনের ইমেজিং টুল ব্যবহার করে ডেটা ট্র্যাক করেন। সিরামের উপাদান যোগ করার সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল দেখতে পাওয়া যায়। উদ্ভিদের নির্যাস এবং বৃদ্ধির কারণগুলিকে একত্রিত করার সময় চুলের ঘনত্বের সর্বাধিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এই গবেষণাটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বর্তমানে চুলের যে ধরণের চিকিৎসা (যেমন মিনোক্সিডিল) হয়, ফলাফল দেখাতে বেশ কয়েক মাস সময় নেয়, যেখানে এই নতুন সূত্রটি অনেক দ্রুত সংকেত পাঠায়।
প্রাথমিক ফলাফল আশাব্যঞ্জক হলেও, বিজ্ঞানীরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও স্পষ্ট করেছেন। তাদের মতে, পরীক্ষাটি খুব ছোট ছিল, মাত্র আট সপ্তাহ ধরে। এতে সুস্থ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, গুরুতর টাকের রোগীরা নয়।