কমবেশি সকলেরই চুল পড়ে। মরসুম বদলে চুল পড়াটা স্বাভাবিকও। এটা হয়তো অনেকে জানেনই না। ফলে দুশ্চিন্তা একদম করবেন না। চিরুনি দিয়ে আঁচড়ানোর সময় অনেকটা চুল পড়ে। তবে অনেকটা চুল পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। অসতর্ক হলে মাথায় টাক পড়তে পারে। স্বাস্থ্যের সমস্যা থাকলেও চুল পড়া অস্বাভাবিক নয়। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে চুল ফের গজাতে পারে।
চুল পড়া অত্য়ন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। সবারই কমবেশি চুল পড়ে। আবার নতুন চুল গজায়। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটলজি বলছে, যে কোনও ব্যক্তির দিনে প্রায় ৫০-১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। চুলের প্রতিটি কূপ বা ফোলিকল একটা চক্রের অংশ। প্রথম এনাজেন স্তর চুল ওঠে। টলোজেন স্তরকে বিশ্রামের ধাপও বলা হয়। এই স্তরেই চুল পড়া শুরু হয়। রোম কূপ যতদিন সক্রিয় থাকে ততদিন পর্যন্ত চুল পড়ে এবং গজায়। এই প্রক্রিয়া চক্রাকারে চলতে থাকে।
অধিকাংশ স্বাস্থ্যবান মানুষের মাথায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার চুল থাকে। যাঁদের চুল ছোট তাঁদের ঝরে যাওয়ার সমস্যাও কম। লম্বা চুল স্নান ও চিরুনি করার সময় বেশি পড়ে। এছাড়াও বর্তমানে রং, নানা ধরনের স্টাইলেও চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে।
চিরুনির সময় চুল পড়া- বেশিরভাগ মানুষের চিরুনি করার পর চুল পড়তে দেখা যায়। খুব জোরে চিরুনি করলে এটা হয়। এজন্য হালকা করে চিরুনি করুন। সঠিক গুণগতমানের পরিষ্কার চিরুনি ব্যবহার করুন।
স্নানের সময়- স্নান করার সময় অনেক চুল পড়ে। এর মধ্যে অনেক চুলই আগেই হয়তো পড়ে গিয়েছে। স্নানের সময় ঝরে যায়। শ্যাম্পুর রাসায়নিকের কারণেও চুল পড়ে। স্নানের সময় অত্যাধিক চুল পড়লে শ্যাম্পু বদল করুন। এজন্য ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
চুল বেশি পড়ার কারণ- প্রতিদিন ১০০-র বেশি চুল পড়লে সতর্ক হোন। ডাক্তার দেখাতে পারেন। আর বেশি চুল পড়ার পিছনে নানা কারণ রয়েছে। যেমন- সন্তানের জন্মের পর, গর্ভনিরোধক ওষুধ বন্ধ করলে, অত্যাধিক ওজন, তীব্র জ্বর, ভারী অপারেশনের পরে চুল অনেক পড়ে। তবে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। ধীরে ধীরে চুল গজাতে শুরু করে। ৬-৯ মাসের ভিতরেই আগের মতো চুল চলে আসে মাথায়। সেটা না হলে ডাক্তার দেখান।