গরমের তীব্র দাবদাহে নাজেহাল সকলে। এই সময় ঘামে ভিজে ত্বক ও চুলের অনেক ক্ষতি হয়। এজন্যে ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মরসুমে সবচেয়ে বেশি চুল পড়ে। গ্রীষ্মের প্রখর রোদ এবং বাতাসে উপস্থিত দূষিত উপাদান চুলের ক্ষতি করে। এতে চুল শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে যায়। এর পাশাপাশি চুলের নানা সমস্যাও দেখা দেয়। তাই রইল কিছু টিপস, যা এই ঋতুতে আপনার চুল সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান করবে।
* চুলের শুষ্কতা দূর করতে সপ্তাহে অন্তত একবার চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে যেতে হলে, সপ্তাহান্তে চুলে তেল লাগান এবং বেঁধে রাখুন। এতে চুলে পুষ্টি যোগাবে। কর্মক্ষেত্রে থেকে বাড়িতে পৌঁছে ভাল চুল আঁচড়ান এবং এরপর চুল বাঁধুন।
* চুলে হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার, কার্লার ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না, এতে চুল আরও শুষ্ক হয়ে যায় এবং ডগা ফাটতে শুরু করে।
* বাইরে বের হলে সুতির স্কার্ফ বা ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। খুব কম মানুষই জানেন যে সূর্যের আলো চুলকেও প্রভাবিত করে। এছাড়া স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বা স্নিগ্ধতা ধরে রাখতে আপনি স্ক্যাল্প মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
* চুলে শ্যাম্পু করার আগে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করবেন না। এটি মাথার ত্বকে উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল দূর করে, যার ফলে চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
* গরমেও চুলের আর্দ্রতা প্রয়োজন। তাই এই মরসুমে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনারও ব্যবহার করুন। সর্বদা প্রোটিন ভিত্তিক কন্ডিশনার বেছে নিন। কিন্তু কখনই স্ক্যাল্পে কন্ডিশনার লাগাবেন না।
* চুল কালার করতে অ্যামোনিয়া ফ্রি হেয়ার কালার ব্যবহার করুন। ফলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মিলবে এবং চুল পুষ্টি পায়।
* স্যুইমিং পুল থেকে উঠে অবশ্যই চুল ধুয়ে ফেলবেন।
* চওড়া দাঁতযুক্ত চিরুনি ব্যবহার করুন। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।
* তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে তেলের পরিবর্তে হেয়ার সেরাম লাগান। এটি কম আঠালো হয়।
* চুল স্বাস্থ্যকর রাখতে, সময় সময় তা ডগা ছেঁটে নিন। এতে স্প্লিট এন্ডের সমস্যা দূর হয় এবং চুল স্বাস্থ্যকর দেখায়।